ভিসার আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভারতে কারো রেফারেন্স দিতে হবে। ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গেলে হোটেলে নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর প্রয়োজন হবে। একই সাথে বাংলাদেশেরও একজনের রেফারেন্স দিতে হবে। এরপর ৩য় পৃষ্ঠার কাজ শেষ করে নেক্সট দিলে আপনার দেয়া সকল তথ্য একটি পূরণকৃত ফরমে দেখাবে। একদম নিচে থাকবে দু’টি বোতাম, modify/edit এবং verified and continue। তথ্যগুলো দেখে সংশোধনের প্রয়োজন হলে modify বোতামে চেপে আবার সংশোধণের সুযোগ পাবেন আর সব ঠিক থাকলে verified and continue বোতামে চেপে পরের পৃষ্ঠায় যেতে হবে। এই পৃষ্ঠায় আপনি ভারতে গেলে যেখানে থাকবেন সেখানকার জায়গা/হোটেলের নাম, ঠিকানা, রাজ্যের নাম এবং জেলার নাম দিতে হবে। যেমন- আপনার হোটেল কোলকাতায় হলে হোটেলের নাম, ঠিকানা এবং রাজ্যের নাম হিসেবে West Bengal এবং জেলার নাম হিসেবে দিতে হবে Kolkata. শেষে দিতে হবে ফোন নাম্বার। কয়েকটি হোটেলের নাম, ঠিকানা দেয়ার অপশন থাকলেও একটির বেশি দেয়ার প্রয়োজন নেই। এরপর continue বোতামে চাপলে Date and Time Allotment to Applicant নামে একটি পাতা আসবে। সেখানে আপনার নাম এবং ওয়েব ফাইল নাম্বার বলে একটি নাম্বার দিবে। এই নাম্বারটা অবশ্যই লিখে রাখতে হবে। যদি আপনাকে সময় দেয়া হয় তাহলে পেইজের একদম নিচে ডানদিকে সময় ও তারিখ লেখা থাকবে আর যদি সময় না দেয়া হয় তাহলে লেখা থাকবে No appointment dates are available. এক্ষেত্রে লেখার প্রথমে দেয়া লিংকে গিয়ে পেইজের নিজের দিকের reprint registered application বোতামে ক্লিক করে প্রথমে ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। এরপর সাবমিট বোতামে ক্লিক করে পরের পাতায় গিয়ে যে ভারতীয় মিশনে আপনি আবেদন করছেন সেটি নির্বাচন করে, ওয়েব ফাইল নাম্বার, জন্ম তারিখ, পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে আরেকটি ক্যাপচা পূরণ করে reprint বোতামে ক্লিক করলে একটি পিডিএফ ফাইল খুলবে যার ডানদিকে আপনার সাক্ষাতকারের সময় লেখা থাকবে। ফাইলটি কম্পিউটারে সেইভ করে রাখবেন। আর যদি তারিখ না থাকে তাহলে বুঝতে হবে সাক্ষাতকারের জন্য কোনো সময় খালি নেই।
সময় খালি পাবেন সে আশা করাও ঠিক নয়। কারণ ওদের সার্ভারে সময় খালি না থাকার বলার জন্যই কমান্ড দেয়া থাকে। দিনের অজানা কোনো সময় অল্প কয়েক মিনিটের জন্য সার্ভার খোলা রাখে যখন আবেদন করলে সময় পাওয়া যায়। কিন্তু এ তথ্য কেউ জানে না। এ কারণে কিছু দালাল রয়েছে যাদের কাজই হলো অর্থের বিনিময়ে আপনাকে ভিসার জন্য ভারতীয় দূতাবাসে সাক্ষাতকারের জন্য আপনাকে তারিখ পাইয়ে দিবে। সেক্ষেত্রে উপরের প্রক্রিয়ায় পুরো আবেদনপত্র পূরণ করে তারিখ না পেলে দালালকে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার, জন্ম তারিখ, ওয়েব ফাইল নাম্বার দিয়ে দিলে তারা সারাদিন ধরে চেষ্টা করে তারিখ পাইয়ে দেয়। সেজন্য তারা ৩০০ থেকে শুরু করে ১০০০ বা ১৫০০ টাকা নিয়ে থাকে। অনেকজনের ভিসার কাজ দিলে তারা টাকা কম নেয়। সাধারণত ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যেই নেয় মাথাপিছু। আর নিজে যদি আপনি তারিখ ও সময় পেয়ে যান তাহলে তো কেল্লা ফতে। তারিখ পাওয়ার পর নির্ধারিত দিনে আপনাকে দূতাবাসে যে সকল কাগজপত্রের ফটোকপি ও আসল কপি নিয়ে যেতে হবে তা হলো-
১। সাক্ষাতকারের তারিখ লেখা পিডিএফ ফাইলটির প্রিন্ট করা কপি
২। পাসপোর্ট
৩। ইউটিলিটি বিল
৪। জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্মনিবন্ধন সনদ
৫। ২”/ ২” সিল-ছাপ্পড়, স্বাক্ষর না করা সদ্য তোলা রঙিন ছবি ৪ টি
৬। অফিস/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া পরিচয়পত্র
৭। প্রতিষ্ঠান থেকে দলগত ভ্রমণ বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গমন হলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত প্রয়োজনীয় সুপারিশের কাগজ
ভিসা প্রক্রিয়ার খরচ ৪০০ টাকা। আর ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ভারতে যেতে চাইলে নূন্যতম ১৫০ ডলার পাসপোর্টে এনডোর্স করিয়ে নিতে হবে। অনেক সময় তারা বিগত ৩ বা ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টও চেয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment