কম্পাস ব্যতিত দিক নির্ণয় ব্যাপারটা বেশি কঠিন না। কিছু মজার কৌশল আর কিছু common sense. আর এক দিক জানলে বাকি দিকগুলো এমনি বের হয়ে আসে। শুরুতেই কিছু চিরন্তন সত্য-
- সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে ও পশ্চিম দিকে অস্ত যায় (সারা জীবন আওড়ায়ে গেলাম, এখনও আওড়ায়ে যাব)।
- চন্দ্রও পূর্ব দিকে ওঠে ও পশ্চিম দিকে অস্ত যায় (যখন চন্দ্র থাকে আর কি)।
- ধ্রুব তারা উত্তর আকাশে থাকে (তাইতো ইংরেজিতে তাকে North Star বলে)।
- চুম্বক বা চৌম্বক জাতীয় পদার্থ মুক্ত ভাবে দুলতে দিলে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর স্থির হয়।
১। সূর্য দেখে – এটা খুব নিখুঁত না হলেও সবচেয়ে দ্রুত এবং সহজ পদ্ধতি। সূর্য পূর্ব থেকে পশ্চিমে যায়, শীতকালে খানিকটা দক্ষিণে এবং গ্রীষ্মকালে খানিকটা উত্তরে হেলে থাকে (বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী)। এবার common sense ব্যবহার করেন। দুপুর ১২ টায় সূর্যের দিকে তাকালে কোন দিকে হেলে আছে তা দেখলেই দিক বোঝা যায়। নতুবা সূর্যের পথ কিছুক্ষণ খেয়াল করলেই দিক অনুমান করা যায়।
২। দিনের বেলা ছায়া থেকে – এই পদ্ধতিটা আরেকটু নিখুঁত। একটা লাঠি খাড়া সোজা করে মাটিতে পুঁতবেন। ওটার ছায়ার মাথা বরাবর একটা তক্তা গাড়বেন। ছায়া বেশ কিছুটা সরে গেলে আবার ছায়ার মাথা বরাবর আরেকটা তক্তা গাড়বেন। দুইটা তক্তা বরাবর সোজা রেখা টানলে তা পূর্ব-পশ্চিম নির্দেশ করে। যে তক্তা প্রথম গাড়লেন তা সবসময়েই পশ্চিম, কারণ - চিরন্তন সত্য - ১।
৩। Analog ঘড়ি ব্যবহার করে – এটা একটা মজার পদ্ধতি। ১২ টা বাদে দিনের যেকোনো সময়ে Analog ঘড়ির ঘণ্টার কাটা সূর্যের দিকে তাক করেন। এরপর ঘণ্টার কাটা ও ঘড়ির “১২” লেখার মধ্যবর্তী সূক্ষ্মকোণকে দ্বিখণ্ডিত করে একটা রেখা টানলে তা সবসময়ে দক্ষিণ দিক নির্দেশ করে।
[caption id="attachment_172" align="aligncenter" width="300"] Photo Courtesy: www.wikihow.com[/caption]
1. Photo courtesy: www.wikihow.com
৪। চুম্বক বা চৌম্বক পদার্থের সাহায্যে – একটা চুম্বক থাকলে তো কোন কথাই নাই, Jackpot! সুন্দর করে সুতার সাহায্যে চুম্বকটা ঝুলিয়ে দেন। এটা উত্তর দক্ষিণ বরাবর স্থির হবে। নতুবা একটা খুব হালকা চৌম্বক পদার্থকে (সুঁই হতে পারে, কিন্তু দেখে নিতে হবে তাকে চুম্বক আকর্ষণ করে কিনা। অনেক সুঁই আজকাল শঙ্কর ধাতু দিয়ে বানানো হয়, যাকে চুম্বক আকর্ষণ করে না) হালকা ভাসমান পাটাতন (platform) এর উপর রেখে পানিতে ভাসায়ে দিলে (তা যদি মুক্তভাবে নড়তে পারে) সেটা উত্তর-দক্ষিন বরাবর স্থির হবে।
এই পদ্ধতি অত্যন্ত নিখুঁত, কিন্তু উত্তর-দক্ষিন চেনা গেলেও কোন দিক উত্তর বা দক্ষিন তা নির্ণয় করা যায় না। তার জন্য উল্লেখিত অন্য যেকোনো পদ্ধতির সাহায্য নিতে হবে।
৫। তারার সাহায্যে – সপ্তর্ষি মণ্ডল বলে উত্তর আকাশে সাতটি তারার সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেখা যায়, যাকে ইংরেজিতে big dipper বলা হয়। এর মাথার দুটি তারাকে যোগ একটি লাইন টানলে তা ধ্রুব তারায় গিয়ে পড়ে।
2. Photo courtesy: www.wikihow.com
৬। মসজিদ, মন্দির, গির্জার সাহায্যে – মসজিদ এর দরজা সবসময়ে পূর্ব দিকে হয়, সেজদার দিক হয় পশ্চিম (বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে)। সাধারণত মন্দির দখিন-দুয়ারি হয়, গির্জা পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা হয়। গির্জার উপরের ক্রস চিহ্ন পশ্চিম দিকে হয়।
এছাড়া ভাই, ঢাকাবাসীদের জন্য বলছি, উত্তরা ঢাকার উত্তর মাথায়, সদরঘাট দক্ষিণে। কাকরাইল থেকে মগবাজার-মহাখালি-বনানি-এয়ারপোর্ট, পুরা রাস্তাটা কম বেশি উত্তর-দক্ষিন বরাবর। এর আনুমানিক সমান্তরাল রাস্তা শাহবাগ থেকে ফার্মগেট হয়ে ক্যনটনমেনট এর ভিতর দিয়ে চলে গেছে। এর বাম পাশে (পশ্চিমে) আজিমপুর, ধানমণ্ডি, মোহাম্মাদপুর, মিরপুর এলাকা; ডানে (পূর্বে) মতিঝিল, হাতিরঝিল, শান্তিনগর, রামপুরা, খিলগাঁও, বাড্ডা এলাকা। দুই রাস্তার মাঝখানে রমনা, তেজগাঁও, নাখালপাড়া এলাকা। দিক বুঝা কি খুব কঠিন?
যদি পশ্চিম দিক পাওয়া যায়,তাহলে হাতের ডানে পাশ উত্তর। হাতের বাম পাশ দক্ষিন। পিছন (ঠিক উল্ট দিক পুর্ব।
ReplyDelete(বাংলাদেশে যে কোন মুসলমান বয়স্ক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেই সাথে সাথে উত্তর পাবেন পশ্চিম দিক কোন দিকে)
যদি উল্টা মুখ করে থাকি তাহলে দিক কেমন হবে
Deleteঘরের দিক বের করবো কেমনে
Deleteপূর্বদিক মুখ করে দাঁড়ালে বাম হাতের দিকে উত্তর দিক হবে(আগে দেখতে হবে যে সূর্য কোন দিক দিয়ে উদিত হচ্ছে।আর দুই দিক পাওয়া গেলেই বাকি দুই দিক পাওয়া তো খুব সোজা।(সূর্য পশ্চিম দিকে অস্ত যায়।
ReplyDeleteঅনেকটাই বুঝতে পারলাম।
ReplyDeleteআমার বাবাতো একাবার ফোনে বলছিল দক্ষিণ দিকে আয় কিন্তু আমি তো দিশাহারা না পারি লজ্জায় কারোকে জিজ্ঞাস করতে না পারি আন্তাজে কোনদিক দিয়ে যেতে। তারপর আরকি বাবা এসে দমকাইতে দমকাইতে লইয়া গেল
😞😞😞😞
ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আমাদের এলাকায় ক্রিকেট ম্যাচ হইছিলো একবার। তো আমি স্টেজ সাজানো দেখতেছিলাম। এমন সময় আব্বু ফোন দিয়া কয় স্টেজ কোন দিকে🙂 আমি ওইদিন উত্তর দিতে পারি নাই,, এখনো আব্বু এটা নিয়া আমারে বকে আর বলে নূন্যতম আক্কল-জ্ঞান নাই, তোর ভবিষ্যৎ আমার দেখা হয়ে গেছে 🙂
ReplyDelete