Showing posts with label Technology. Show all posts
Showing posts with label Technology. Show all posts

Wednesday, May 7, 2014

অনলাইনেই সেরে ফেলুন কাজ, সফটওয়্যার ডাউনলোডের দিন শেষ

দিন কে দিন সব কাজ চলে আসছে কম্পিউটার আর ইন্টারনেটের ভেতরে। সিডি-ডিভিডির দিনও ফুরোতে চললো বলে। মুভিও আজকাল চালাচালি হয় পেন ড্রাইভ বা শেয়ারিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। কম্পিউটারে কাজ করার সময় প্রায়ই ছোটখাটো কাজ করতে হয় যার জন্য প্রয়োজন হয় কিছু সফটওয়্যারের। কিন্তু কষ্ট করে সফটওয়্যার ডাউনলোড করার কিন্তু প্রয়োজন নেই। অনলাইনেই অনেক কাজ করে ফেলা যায়। কাজের এরকম কিছু ওয়েবসাইট নিয়ে আজকের আয়োজন।

১। বিজয় দিয়ে আমরা অনেকেই টাইপ করতে পারি না। অভ্র বা ইউনিকোডে বেশ চলে যায় দিন। কিন্তু অভ্রের মতো এত অসাধারণ এই ফ্রিওয়্যারটি দিয়ে ছাপাখানার কাজ করা যায় না। ছাপাখানার মেশিন অভ্রতে লেখা শব্দ পড়তে পারে না। ইউনিকোড পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন ল্যাংগুয়েজ এখনো আমাদের ছাপাখানাগুলোতে আসে নি। কিন্তু ছাপানোর জন্য এখন বিজয়ে টাইপ করা শিখতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অভ্রতে লিখে অনলাইনে বিজয়ে কনভার্ট করে নিলেই কেল্লা ফতে। ইউনিকোড বা অভ্র থেকে বিজয় এবং বিজয় থেকে অভ্র বা ইউনিকোডে লেখা রূপান্তরের খুবই কাজের একটা ওয়েবপেইজ হলো http://www.banglaconverter.com

Unicode_to_Bijoy_Converter_[ইউনিকোড_টু_বিজয়_কনভার্টার]_-_2014-05-07_13.47.59

২। এক সময় কম্পিউটার কিনে আনলে অ্যাডোবির সবকিছু সেখানে দেয়া থাকতো। এখন অনেকেই ল্যাপটপে আসল উইন্ডোজ চালাচ্ছেন। তাই সেখানে পাইরেটেড সফটওয়্যার দেয়া থাকে না। ফলে ছবি সম্পাদনা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। অনলাইনে অনেক ছবি সম্পাদনার সাইট রয়েছে। কিন্তু আমার মতো যারা ছোটবেলা থেকে অ্যাডোবির ফটোশপ ব্যবহার করে অভ্যস্ত তারা http://www.photoshoponlinefree.com এই ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনামূল্যে ছবি সম্পাদনার সব কাজ করতে পারবেন। সাইটটি অ্যাডোবির না হলেও অ্যাডোবি ফটোশপের আদলে তৈরি করা।

Photoshop_Online_Free_-_2014-05-07_13.45.08
৩। অনেক গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাজের জন্যে পিডিএফে ফরম পূরণ করতে হতে পারে আমাদের। কিন্তু আমাদের অধিকাংশেরই কম্পিউটারে পিডিএফ পড়ার অ্যাডোবি অ্যাক্রোব্যাট রিডার আছে, কিন্তু রাইটার বা এডিটর নেই। অ্যাডোবি রাইটার আবার টাকা দিয়ে কিনতে হয়। পাইরেটেড ভার্সন খুঁজে পাওয়াও কঠিন, তা ব্যবহার করাও অনৈতিক। তাই পিডিএফ ফাইলে লেখা বা সম্পাদনার জন্য একটি চমৎকার অনলাইন পিডিএফ এডিটিং সাইট হলো www.pdfescape.com . এখানে গিয়ে পিডিএফ ফরম পূরণ, চেক/টিক মার্ক দেয়া, আগে থেকে থাকা কোনো অংশ মোছাসহ যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা যাবে।

৪। হঠাৎ করে doc বা docx ফাইলকে pdf এ কনভার্ট করার প্রয়োজন হতে পারে কিংবা উল্টোটা। আবার jpg কে pdf এ. অনেক ধরণের ফাইলকেই অন্য ধরণের ফাইলে রূপান্তর করার প্রয়োজন হতে পারে কাজের প্রয়োজনে। আর অনলাইনে এ কনভারসনের কাজগুলো বিনামূল্যে করে দেবে convertonlinefree.com সাইটটি। কোনো রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই। কনভার্ট করে সরাসরি ডাউনলোড করে নেয়া যাবে।

Convert_DOC_to_PDF_Online_Convert_DOCX_to_PDF_Online_Convert_Word_to_PDF_Online_Free_online_converter_-_2014-05-07_13.50.03

convertonlinefree এর ওয়েবপেইজ

৫। একাধিক পিডিএফ ফাইল জয়েন করতে চলে যেতে পারেন pdfjoin.com এ।

৬। অনুষ্ঠানে বাজানোর জন্য বা রিংটোন বানানোর জন্য এমপিথ্রি ফরমেটের গান কাটতে হতে পারে। হয়তো গানের পছন্দের অংশটুকু কেটে আলাদা করতে চান সেক্ষেত্রে কাজটি খুব সহজে করা যাবে mp3cut.net এ।

৭। ছবি এবং ভিডিও সম্পাদনের চমৎকার একটি সাইট হলো www134.lunapic.com. খুব সহজেই ছবিতে বিভিন্ন ইফেক্ট দেয়া যায়। হটাৎ করে কোনো ছবিতে ওয়াটার মার্ক বসাতে, সাদাকালো করতে কিংবা স্কেচ ইফেক্ট দিতে এ সাইটটি আমি অনেকবার ব্যবহার করেছি।

সবশেষে আসি একটি মজার জিনিসে। অনলাইনে নক্ষত্রের অবস্থান আর মহাকাশ সম্পর্কে জানার চমৎকার একটি সাইট হচ্ছে neave.com/planetarium. সাইটে প্রবেশ করার সাথে সাথেই পিসির স্ক্রিন এক উন্মুক্ত আকাশে পরিণত হবে। আপনি যে অবস্থানে আছে ঠিক সে অবস্থান থেকে আকাশের দিকে তাকালে কোন তারাটি কোথায় অবস্থান করবে তাও দেখা যাবে এখানে। পৃথিবীর অপর প্রান্তে গিয়েও আকাশ দেখা যাবে।

কোনো সফটওয়্যার ডাউনলোড না করেই টুকটাক কাজ অনলাইনে করে ফেলতে পারলে আসলেই ভালো লাগে। হার্ডড্রাইভের জায়গাও বাঁচে, কাজও হয়। তবে এসব কাজের জন্য একটু দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে ভালো হয়। নইলে কাজ করতে করতে বিরক্তি চলে আসে।

Sunday, April 20, 2014

হার্টব্লিড বাগ নিয়ে একজন ননটেকির কিছু কথা

বাল্যকালে “ডাকঘর চাই” এই মর্মে একখান লেখা লিখে তা ছাপানোর জন্য বহুল আলোচিত দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক বরাবর আরেকখানা আবেদনপত্র লিখতে হতো। তবে বাস্তবে না, পরীক্ষার খাতায়। বাংলা দ্বিতীয় পত্রে। ডাকঘর কেন চাই তার একটা অব্যর্থ যুক্তি হিসেবে দিতে হতো, “এলাকায় ডাকঘর না থাকাতে অনেক দূর থেকে পিয়ন চিঠি ও মানি অর্ডার নিয়ে আসে। অনেক সময় মানি অর্ডারের টাকা ‘পথিমধ্যে খোয়া যায়’।” পয়েন্ট টু বি নোটেড। এই অব্যর্থ বাক্যখানা লিখতে পারলে মনে হয় ডাকঘর স্থাপনের সম্ভাবনা বেড়ে যেত। যাই হোক, এখন ডিজিটাল যুগ। পথিমধ্যে মানি অর্ডারের টাকা খোয়া যাওয়ার সুযোগ নাই কিন্তু ইন্টারনেটের অবাধ তথ্য প্রবাহের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড নাম্বারের তথ্য খোয়া যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর এই সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে হার্টব্লিড নামক এক বাগ। ব্যাপক হৈচৈ অবস্থা। হালকা টেকি লোকজন এইটা নিয়ে রসায় রসায় নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা দিয়ে ফেলছে। আমি টেকনিক্যাল লাইনের লোক না। প্রযুক্তি বুঝি কম। হার্টব্লিড সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না তবে গুগলিং এর কল্যাণে যতটুকু জানলাম তা হলো এটা কোনো ভাইরাস না। কোনো দুষ্টু সফটওয়্যার এমপ্লয় করে তথ্য হাতিয়ে নেয়া বা সিস্টেম ধ্বংস করার কারবার এখানে নেই। ভূত সর্ষের মধ্যেই বসবাস করছেন।

heartbleed

ইন্টারনেটে আমরা বিভিন্ন সাইটে ঘুরে বেড়াই। কত জায়গায় লগইন করি, মেইল পাঠাই, অর্থ আদান-প্রদান করি। এখানে কিন্তু গোপনীয়তার প্রয়োজন রয়েছে। ইচ্ছা করলেই যেন আমি কোন ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করছি তা যেন সবাই দেখতে না পারে সেজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে নিরাপত্তা বলয় থাকে। ৬৪ শতাংশ ওয়েবপেইজ তথ্যের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করে থাকে Open Security Sockets Layer বা OpenSSL সফটওয়্যার। এর কাজ হলো আমরা যখন কোনো তথ্য দিয়ে সার্ভারে হিট করি এবং বিনিময়ে আরেকটি তথ্য আমাদের কাছে আসে তখন পুরো প্রক্রিয়ায় তথ্য আদান-প্রদানকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া। অনেকটা মোর্স কোডের মতো। একটা শব্দ প্রথমে এনক্রিপ্ট করে পাঠানো হয়। গ্রাহকের কাছে গিয়ে তা ডিক্রিপ্টেড হয় তখন গ্রাহক তা পড়তে পারে। ইমেইল, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং (আইএম), ওয়েবপেইজে লগইন এ ধরণের সব কাজে আমরা ব্যক্তিগত বা গোপনীয় তথ্য আদানপ্রদান করে থাকি সিস্টেম বা অপর পাশে আরেকজনের সাথে। এখন এই তথ্য বাহিত হয় Transport Layer Security Protocol বা TLS এর মাধ্যমে। আর এই প্রোটোকলটি ব্যবহার করা হয় ওপেনসোর্স TLS সফটওয়্যার OpenSSL দিয়ে। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া OpenSSL ভার্সন 1.0.1f এ একটি বাগ থাকে। জার্মান ডেভেলপার রবিন সেগেলম্যানের প্রোগ্রামিং এর ভুলের কারণে এই বাগের জন্ম হয়। সফটওয়্যারের নকশায় ভুল ছিল না। ভুলটি কোডিং করার সময় হয়। ধারণা করা হয়, হ্যাকাররা এই ভুলের সুযোগ নিয়ে অনেক তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। গুগলের সফটওয়্যার নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা নিল মেহতা সম্প্রতি এ বাগ আবিষ্কার করেন। তখনই OpenSSL তাদের বাগ সারানোর কাজ শুরু করে। অবশেষে বাগমুক্ত করে গত ৭ এপ্রিল ভার্সন 1.0.1g ছাড়া হয়। বাগ ঠিক করেন অ্যাডাম ল্যাংলি এবং বোডো মোলার। বিভিন্ন ওয়েবপেইজ ও সিস্টেম সার্ভার সেবা প্রদানকারী সংস্থা তাদের নতুন ভার্সনে তাদের সিস্টেমকে উন্নীত করছেন। তবে হ্যাকাররা আগেই আপনার গোপনীয় তথ্য পেয়ে থাকতে পারে। সেজন্য অনলাইন ট্রানজেকশনে সকল ধরণের পাসওয়ার্ড এবং কি পরিবর্তন করে নেয়া উচিৎ। নয়তো আগে পেয়ে থাকা তথ্য ব্যবহার করে হ্যাকাররা ক্রেডিট কার্ড থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে বা কোনো ওয়েবপেইজে ছদ্মবেশে আপনার হয়ে প্রবেশ করে আপনার ক্ষতি করতে পারে।

হার্টব্লিড বাগ সম্পর্কে আরো জানতে ঘুরে আসতে পারেন হার্টব্লিড.কম থেকে।

Monday, December 23, 2013

চলছে জব্বর কেনাকাটার মৌসুম, বাড়ছে ভুয়া ই-কমার্স সাইটের দৌরাত্ম্য: যেভাবে নকল পণ্যে সয়লাব প্রতারক ওয়েবসাইট থেকে বাঁচবেন

অবকাশ মৌসুমে ক্রেতারা ঝুঁকছেন কেনাকাটার দিকে, প্রতারকরাও কিন্তু বসে নেই।

যেহেতু বছরের এ সময়টাতে খুচরা বিক্রেতারা সর্বোচ্চ মূল্যছাড় দিয়ে থাকেন সেহেতু প্রতারকরাও এ সময়টাকেই বেছে নেয় ভুয়া অনলাইন সাইটের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য।

ভুয়া ই-কমার্স সাইটগুলো আজকাল ভালোই কামিয়ে নিচ্ছে। কারণ ইন্টারনেটের এ যুগ প্রতারক ব্যবসায়ীদের ফুলে-ফেঁপে উঠতে যথেষ্ঠ সহায়ক।

মার্কমনিটরের তথ্যানুযায়ী, অনলাইনে বিশ্বজুড়ে নকল ও পাইরেটেড পণ্যের রয়েছে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশাল বাজার। উল্লেখ্য, মার্কমনিটর বিভিন্ন ব্র্যান্ডপণ্যের সুরক্ষায় সেবা ও সমাধান প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।

মার্কমনিটরের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফ্রেড ফেল্ডম্যান অনলাইনের ভুয়া মার্কেটের একটি চিত্র তুলে ধরেছেন এবং সুকৌশলী স্ক্যামারদের চিহ্নিত করার জন্য ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় টিপস দিয়েছেন। আর এ টিপসগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছে iferi.com ।

অবকাশ মৌসুমে ভুয়া শপিং সাইটগুলো কতটা তৎপর থাকে?

নকল পণ্যের কেনাবেচা এ মৌসুমে অন্যান্য পণ্যের মতোই বেশি হয়ে থাকে। বৈধ পণ্য বিক্রয়কারী ও নকল পণ্য বিক্রয়কারী উভয় সাইটের বিক্রিই এ সময়ে বেশি হয়ে থাকে।

এ মৌসুমে প্রতারকরা কী কৌশল অবলম্বন করে?

বৈধ পণ্য বিপণনকারীদের মতোই প্রতারকরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেরা কৌশলগুলোই ব্যবহার করে থাকে। ক্রেতারা সাধারণত যে শব্দগুলো দিয়ে সার্চ করে প্রয়োজনীয় পণ্য খুঁজে বের করে সে ধরণের শব্দ তারাও তাদের সাইটে যুক্ত করে ক্রেতাদের নিজেদের সাইটের দিকে নিয়ে আসে। কেনাকাটার এ মৌসুমে তারা আরো যেটা করে সেটা হলো ক্রেতাদের ক্রয়ে উৎসাহিত করতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হানা দেয়। বিশেষ করে সেই মাধ্যমগুলোতে যেগুলোতে প্রচুর সম্ভাব্য ক্রেতা ভিড় করে যেমন- Pinterest।

প্রতারকরা পিন্টারেস্টের মতো সাইটগুলোতে ব্র্যান্ডের সাইট থেকে নেয়া আসল পণ্যের ছবি দেয় কিন্তু তাকে লিংক করে রাখে ভুয়া পণ্য বিক্রয়কারী সাইটের সাথে। নিজের চোখে দেখার জন্য আপনার পছন্দের কোনো জুতা বা খেলাধুলার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ডের পণ্যের নাম দিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন। আর, পণ্যের আগে cheap বা discount শব্দগুলো জুড়ে দিতে ভুলবেন না যেন। বহু ভুয়া সাইট হাজির হয়ে যাবে। প্রতারক বিক্রেতারা এ বিষয়ে সিদ্ধহস্ত। এই সময়টাতে সবাই যখন সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে ব্যস্ত তখন তারাও ব্যস্ত নকল ও অবৈধ পণ্য ক্রেতাদের গছিয়ে দিতে।

অবকাশ মৌসুমে কোন কোন পণ্যে সাধারণত ছাড় দেয়া হয়?

জুতা, তৈরি পোশাক, বিলাসদ্রব্য ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য ডিজাইন ভিত্তিক পণ্যে এই সময়টাতে ছাড় দেয়া হয়। আর তাই প্রতারকদের টার্গেট হয় এসব পণ্যকে ঘিরেই। এ সকল ক্যাটাগরির নামীদামী ব্র্যান্ডগুলোই প্রতারকদের মূল লক্ষ্য। “really big brand” “cheap” “Christmas” এসব কি-ওয়ার্ড একত্রে লিখে সার্চ দিলে ভুয়া পণ্যে বিক্রির একগাদা সাইটের ঠিকানা এসে হাজির হবে। ইলেক্ট্রনিক পণ্যও কিন্তু প্রতারকদের অন্যতম টার্গেট।

কীভাবে গ্রাহকরা ভুয়া ই-কমার্স সাইটগুলোকে চিহ্নিত করতে পারবে?

  • মূল্য: মূল্য যদি অপ্রত্যাশিত রকমের কম হয় তাহলে তা সন্দেহজনক। গ্রাহককে এক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

  • সাইটটি চেহারা: কিছু কিছু সাইটকে প্রথম দর্শনে পেশাদার মনে হলেও ব্র্যান্ড-নকলকারী ভুয়া সাইটগুলো সাধারণত About বা FAQ পেইজের সতর্ক থাকে না। সেখানে গেলে তাদের জারিজুরি ফাঁস হয়ে যেতে পারে।

  • অতিরিক্ত মূল্যহ্রাসের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন: অপ্রত্যাশিত রকমের ডিসকাউন্ট কিন্তু সন্দেহজনক। প্রতারকরা দামের ব্যাপারে খুব ছাড় দিতে চাইলেও পণ্যের মান ও টেকার প্রশ্নে ইতস্তত করতে থাকে।

  • দিন কে দিন নকল পণ্য সরবরাহকারী সাইটগুলো নিজেদের পরিশীলিত ও বৈধ চেহারা দিয়ে যাচ্ছে। একজন সাবধানী ক্রেতার উচিৎ হবে সাইটের লিংকগুলো (প্রাইভেসি পলিসি, অ্যাবাউট আস, রিটার্ন পলিসি ইত্যাদি) ভালোভাবে চেক করা। সেই সাথে সার্চ ইঞ্জিনে ঐ সাইটের নামের সাথে “Scam” শব্দটি জুড়ে দিয়ে সার্চ করে দেখা যে পূর্বে অন্য কোনো ক্রেতা ঐ সাইট সম্পর্কে কোনো অভিযোগ করেছেন কিনা। অনেকগুলো ব্র্যান্ড তাদের সাইটে নকল পণ্য বিক্রয়কারী সাইটগুলোর তালিকা দিয়ে রাখে। সেগুলোও চেক করা যেতে পারে।

  • রিটার্ন পলিসি ভালো করে জেনে নিতে হবে। খ্যাতিসম্পন্ন সাইটগুলো প্রথমেই স্পষ্ট করে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য দিয়ে দেয়।

  • প্রাইভসি পলিসি নিয়ে ঘেঁটে দেখতে হবে। নকল ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রয়কারী সাইটগুলো শক্তিশালী প্রাইভেসি পলিসি তৈরির পেছনে সময় ব্যয় করে না।

  • নাম-ডাক কেমন? ঐ সাইটের নাম কি স্ক্যাম সতর্ককারী কোনো সাইটের তালিকায় রয়েছে? “vendor+scam” লিখে সার্চ করে দেখতে হবে কী ফল আসে। সার্চ দেয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে: প্রতারকরা নিজেদের গা বাঁচানোর জন্য মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে কি-ওয়ার্ড বদলে ফেলে। মার্কমনিটরের একটি অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, মৌসুম ভিত্তিক ব্যবহৃত সার্চ টার্মগুলো দিয়ে সার্চ করলে যে সকল পেইড অ্যাড হাজির হয় তার ১৭% ই সন্দেহজনক নকল ও পাইরেটেড পণ্যের সাইট। আর পণ্যের নামের আগে “cheap” অথবা “discount” শব্দগুলো জুড়ে দিয়ে সার্চ করলে শতকরা ৫০ ভাগ পাইরেটেড বা নকল পণ্যের সাইট এসে হাজির হয়।

  • অ্যাড্রেসবারে ওয়েবসাইটের নামের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতারকরা প্রায়ই ইচ্ছা করে সম্ভাব্য ভুল বানানে নামকরা ব্র্যান্ডের নাম.com এভাবে ডোমেইন কিনে রাখে যাতে করে অ্যাড্রেসবারে টাইপ করার সময় ভুল হলে সরাসরি তাদের ভুয়া ই-কমার্স সাইটে গ্রাহক পৌঁছে যায়। টাইপের ভুলে অনেক সময় অ্যাডাল্ট সাইটেও চলে যেতে হতে পারে। এ সবই প্রতারকদের কারসাজি।


নিজের কষ্টের পয়সা দিয়ে মানসম্মত আসল পণ্যটি কেনাই তো ভালো তাই না? গ্রাহকগণ যেন কখনোই ভুয়া পণ্য বিক্রিকারী কোনো ই-কমার্স সাইট দ্বারা প্রতারিত না হন সে লক্ষ্যেই আজকে iferi.com কর্তৃক এ আয়োজন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর iferi.com ২০১১ সাল থেকে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। Iferi সব সময় চায় গ্রাহকদের কাছে গ্যারান্টি সহকারে মানসম্মত পণ্যটি পৌঁছে দিতে। পণ্যের মানের সাথে কখনোই আপোষ না করায় সম্মানিত গ্রাহকরাও iferi.com এর ওপর আস্থা রাখছেন।

Wednesday, December 18, 2013

অবসরে ঘুরে আসুন মজার কিছু ওয়েবপেইজ থেকে

হরতাল-অবরোধে কোনোভাবে জান হাতে নিয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে। বেড়াতে যাওয়া তো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। অনেকেই একঘেয়েমি জীবন কাটাচ্ছেন। শহরের বাইরে ঘুরতে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। গেলে ফিরে আসাও এক বিরাট টেনশন। লাগাতার অবরোধ তো চলছেই। অবরোধ থাকুক বা না থাকুক, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চলছেই। এর মধ্যে বাসায় থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ। বাইরে বেড়ানো হয়তো হচ্ছে না, তাই বলে ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু বাধা নেই কোনো। এখন পর্যন্ত সাইবার জগতে হরতাল যেহেতু দেওয়ার কোনো পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয় নি তাই যত দিন নেট জগত অবরোধমুক্ত ততদিন নেটেই ঘুরে বেড়ানো যাক মজার এবং ইন্টারেস্টিং কিছু সাইটে। সেরকম ইন্টারেস্টিং সাইট নিয়ে আজকের আয়োজন। অনেক সাইটের সাথে হয়তো ইতিমধ্যেই আপনারা পরিচিত, অনেকগুলো হয়তো অজানা।

১। http://www.cleverbot.com

Cleverbot.com - a clever bot - speak to an AI with some Actual Intelligence_ - 2013-12-18_17.10.44

এ সাইটে গিয়ে কথোপকথন চালাতে পারবেন তবে তা কোনো মানুষের সাথে নয়, কম্পিউটারের সাথে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশনটি বানানো হয়েছে। আপনি যে কথাই বলুন না কেন, এমনভাবে ক্লেভারবট আপনাকে উত্তর দিবে যে মনে হবে সে বোধহয় আপনার সব কথাই বুঝতে পারছে। এমনকি সে অনেক সময় জোকও করে বসে।

২। http://www.gillesvidal.com/blogpano/paris.htm

আমার মতো যাদের প্যারিস যাওয়া সুযোগ হয় নি তাদের জন্য। আইফেল টাওয়ারের চূড়া থেকে প্যারিস শহর দেখতে চান? তাহলে ঘুরে আসুন এই সাইট থেকে। নিরাশ হবেন না।

৩। http://twistedsifter.com

মূলত একটি ছবি ব্লগ। তবে এখানে অনেক অনেক মজার মজার পোস্ট পাওয়া যায়। যেমন- নিত্যদিন কাজে লাগে এমন কিছু লাইফ হ্যাক নিয়ে যেমন পোস্ট রয়েছে তেমনি রয়েছে “পারফেক্টলি টাইমিং” এ তোলা একগাদা মজার ছবি নিয়ে পোস্ট। দেখতে দেখতে সময় কাবার হয়ে যায়।

http://twistedsifter.com/2013/01/50-life-hacks-to-simplify-your-world  লিংকে গিয়ে জীবনকে সহজ করার কিছু কৌশল ছবিতে দেখানো হয়েছে। পাশে ‘পপুলার পোস্ট’ অংশে আরো মজার ছবি নিয়ে পোস্ট দেখতে পাবেন। আর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় তোলা চমৎকার সব ছবিও পাবেন ওয়েবসাইটটিতে।

৪। মাত্র দুই সেকেন্ডে টি-শার্ট ভাঁজ করার ভিডিও দেখুন নিচের লিংকে গিয়ে।
http://www.youtube.com/watch?v=dZRd5ulBna4

৫। www.earthcam.com

এখানে গিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসানো সিকিউরিটি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও সরাসরি ঘরে বসে দেখতে পারবেন। ঘুরে আসতে পারবেন নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ার বা ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও থেকে।

৬। http://watchthiscam.com/blog/2011/09/21/traffic-cams-live/

এখানে গিয়েও ট্রাফিক চলাচল দেখতে পারবেন আপনারা।

৭। ইউটিউবে লাইভ চ্যানেল দেখা যায়। সেজন্য আপনাকে যেতে হবে

www.youtube.com/live লিংকে। ক্যাটাগরি অনুসারে চ্যানেল ভাগ করা আছে। মিউজিক, নিউজ, স্পোর্টস, কমেডি ইত্যাদি।

৮। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো টিভি চ্যানেল লাইভ দেখতে পারবেন http://www.jagobd.com এ।

৯। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য একটি সাইট হলো http://www.cricket-365.tv/ । বছরের যেকোনো সময় যেকোনো চ্যানেলে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট ম্যাচ এখানে লাইভ স্ট্রিমিং হয়।

১০। শীতকাল। বৃষ্টি তো হয় না। খুব ইচ্ছে করছে বৃষ্টির শব্দ শুনোট। একটা বর্ষণমুখর সময় কাটাতে। প্রযুক্তির কল্যাণে তাও আজ সম্ভব। চলে যান http://www.rainymood.com/  এ।

১১। বিনামূল্যে অনলাইনে এমআইটির কোর্স করতে পারেন যে কেউ। বিভিন্ন সাবজেক্টের নামজাদা শিক্ষকগণ এ সকল কোর্সগুলো পরিচালনা করে থাকেন। কোর্স করতে চাইলে ঘুরে আসুন http://ocw.mit.edu/courses/ থেকে।

১২। গুগল ডট কম এ গিয়ে টাইপ করুন inurl:”CgiStart?page=” । এরপর সার্চ রেজাল্টগুলো ক্লিক করে আপনি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের সিকিউরিটি ক্যামেরায় দৃশ্য দেখতে পারবেন। এমনকি ডানে-বাঁয়ে ঘুরিয়ে ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণও করতে পারবেন।

১৩। http://9gag.com

চরম হাস্যরসাত্মক ট্রোলের ওয়েবপেইজ হিসেবে 9gag.com খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সম্প্রতি পেইজটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে নিয়ে মজার একটি ট্রোল সামাজিক নেটওয়ার্কের সাইটগুলোতে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে।

aBKdqNx_700b

১৪। http://www.bgfl.org/bgfl/custom/resources_ftp/client_ftp/ks2/music/piano/

এই লিংকে গিয়ে অনলাইনে পিয়ানো বাজাতে পারবেন। আমি আন্দাজে টিপাটিপি অসাধারণ কিছু সুরও তৈরি করে ফেলেছিলাম :p

১৫। http://9gag.tv/v/1363

নাইনগ্যাগ ডট টিভিতে গিয়ে চমৎকার কিছু সৃজনশীল বিষয় নিয়ে ভিডিও দেখতে পাবেন। কোনোটা চরম হাসির, কোনোটা প্রচণ্ড ইন্সপায়ারিং।

১৬। সবশেষে ইউটিউব নিয়ে একটা মজা। কৌশলটি আমার বন্ধু বায়েজিদের কাছ থেকে শিখেছিলাম। ইউটিউবে ভিডিও বাফারিং হওয়ার সময় স্ক্রিনের মাঝখানে অপেক্ষা বোঝানোর জন্য কিছু ছোট ছোট বৃত্ত ঘুরতে থাকে। সেই সময় আপনি যদি কি-বোর্ডের আপ-ডাউন-লেফট-রাইট অ্যারো কিগুলো চাপতে শুরু করেন তাহলে বৃত্তগুলো দিয়ে “স্নেক” খেলতে পারবেন।

blog-post-2-pic11

snake-youtube

অবরোধে নেট নিয়ে গুঁতোগুঁতি করুন। অবসর আনন্দে পার করুন। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার জন্য ফেসবুক তো আছেই।

তথ্যসূত্র: নেটে গুঁতোগুঁতি

Sunday, November 17, 2013

একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ যেভাবে তার স্মার্টফোনটিকে নিরাপদে রাখেন

স্মার্টফোনগুলো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আমরা অনেকেই কিন্তু এই যন্ত্রটির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রায়শ' ব্যর্থ হই।

অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়-বার্মিংহামের SECuRE & Trustworthy Computing Lab (SECRET Lab) এর পরিচালক সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রাগিব হাসান, পিএইচডি; নিজের ফোনটির নিরাপত্তার খাতিরে কিছু ধাপ অনুসরণ করে থাকেন।

hands_phone_NYCU_s

কম্পিউটার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, বেশিরভার মানুষই নিজের স্মার্টফোনটির নিরাপত্তার জন্য সেরা পথটি অনুসরণ করেন না।

রাগিবের মতে, “আপনার স্মার্টফোনটি আর পাঁচটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের চাইতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। একটি পাসকোড দিয়েই অনেকটা সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হলেও আমাদের অনেকেই এ বিষয়ে তেমন গা করেন না।”

যেহেতু খুব সহজেই ফোনের সেটিং অংশে গিয়ে পাসওয়ার্ড সেট করা যায় সেহেতু যারা এখনও পাসওয়ার্ড বসান নি তাদেরকে দ্রুত এটি বসানোর পরামর্শ দেন তিনি। কেননা, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ব্যক্তির হাতে পড়লে এই ফোনটি থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল কিংবা ব্যক্তিগত ছবি সহজেই হাতিয়ে নেয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, “এমনকি ঐ দুর্বৃত্ত যদি আপনার ইমেইলে প্রবেশাধিকার পেয়ে যায় তাহলে সে অতি সহজে আপনার ডিজিটাল জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে”।

স্বীয় তথ্যের সুরক্ষার জন্য জনাব হাসান আরো ক’টি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো নিম্নরূপ:

- কখনোই পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিল পরিশোধ করা বা ব্যাংকিংয়ের কাজ করা যাবে না। কারণ, এর মাধ্যমে আপনাকে টার্গেট করতে খুব সুবিধা হয় সাইবার অপরাধীদের। বাসায় নিজস্ব ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু তবুও ম্যালওয়্যারের ভয় থেকেই যায়। এই ম্যালওয়্যারগুলো আপাতদৃষ্টিতে নির্দোষ কোনো অ্যাপ বা মজার কোনো গেইমের মাধ্যমে আপনার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারে এবং আপনার অজান্তেই সব তথ্য সংরক্ষণ করে পাঠিয়ে দিতে পারে অপরাধীদের ডেরায়।

- স্পর্শকাতর বা ব্যক্তিগত গোপণীয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে ল্যান্ডফোন ব্যবহার করাই শ্রেয়।

- ভয়েজ ফিশিং বা ভিশিং এর হাত থেকে সতর্ক থাকতে হবে। অপরাধীরা ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির কর্মকর্তা সেজে ফোন করে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড বা সামাজিক নিরাপত্তা কার্ডের নাম্বার চেয়ে বসতে পারে। মানুষ এখন ফিশিং ইমেইলের সাথে যথেষ্ঠ পরিচিত। ইমেইলের স্প্যাম ফিল্টারও এসব ক্ষতিকর মেইলের অধিকাংশকে আটকে দিতে সক্ষম। ফোনের ক্ষেত্রে কিন্তু কোনো ফিল্টারের ব্যবস্থা নেই। হাসান সেলফোনে কখনোই এসব তথ্য শেয়ার না করতে পরামর্শ দেন। প্রয়োজন হলে কোম্পানির গ্রাহক সেবা বিভাগের মূল নম্বরে ফোন করুন। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে অপরাধীরা আপনাকে ফোন করতে পারে কিন্তু আপনার হবে যেন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান থেকেই কল এসেছে।

- ব্যবহারের পর মনে করে ইমেইল অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক বা টুইটার থেকে লগ আউট করুন কিংবা স্মার্টফোনের টাইম আউট অপশন চালু করে রাখুন। “কেউ যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারে তাহলে সে আপনার পরিচয়ের আড়ালে থেকে ফেইক অ্যাকাউন্ট চালাতে পারে কিংবা আপনার বন্ধুতালিকার সকলের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছুও পাঠিয়ে দিতে পারে। হাসান মনে করেন, “এই অপরাধীরা সত্যিকার অর্থেই অনেক ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম”।

- ফোন বিশেষ করে অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারের সময় অস্বাভাবিক কোনো কার্যকলাপ চলছে কিনা সেদিকে নজর রাখুন। অস্বাভাবিক কাজগুলো কিন্তু ম্যালওয়্যারের ফল। এ ম্যালওয়্যারগুলো  আরো সহজে পিসিতে প্রবেশ করতে পারে। জনাব হাসান আরো বলেন, “আপনার ফোনের চার্জ যদি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া শুরু করে তাহলে এমনও হতে পারে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাপ আপনার অজান্তেই ফোনে চলছে এবং আপনার তথ্য পাচার করে দিচ্ছে। এরকম হলে ফোন রিসেট করতে পারেন কিংবা ফোন কোম্পানির সহায়তা নিতে পারেন”।

- কোনো ব্যবসায়ে মোবাইল পেমেন্টের সুযোগ যদি থেকেও থাকে তবুও কোনো কর্মচারীকে আপনার ফোন নিয়ে চোখের আড়াল হতে দেবেন না।

- কখনোই ফোনের ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যেমন- ড্রাইভার লাইসেন্স বা পাসপোর্টের স্ক্যানড কপি রাখবেন না।

- ফোনে রিমোট ট্র্যাকিং এবং ওয়াইপিং টুল ইনস্টল করে রাখতে হবে যেন মোবাইল হারিয়ে গেলে ট্র্যাক করা যায় এবং প্রয়োজনে দূর থেকেই ভেতরে সংরক্ষিত ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট মুছে ফেলা যায়।

- কফিশপ বা বিমানবন্দরের মতো অরক্ষিত গণওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যেন আপনার ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে না ফেলে সে ব্যবস্থা সর্বদা চালু রাখুন।

- মোবাইল ফোনের উপযোগী সাইটগুলো ব্রাউজ করার সময় সতর্ক থাকুন। মোবাইল ফোন থেকে ভিজিট করার সময় ভিজিটরদের সুবিধার্থে নামকরা প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটগুলো মূল সাইটের মতো দেখতে না হয়ে সাধারণত একটু ভিন্ন চেহারার হয়ে থাকে। আর মানুষও সেজন্য সাইটগুলো ভিন্ন চেহারার হলে সন্দেহ করে না। সেই সুযোগে অপরাধীরা আসল সাইটের মতো করে ভুয়া সাইট বানিয়ে রাখে। আর ফোনের ছোট স্ক্রিনে অনেক সময়েই আসল এবং নকলের সূক্ষ্ম পার্থক্য ধরা যায় না।

সবশেষে রাগিব হাসান পরামর্শ দেন, “এ বিষয়গুলো অবশ্যই আপনার পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করুন যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে। এমনকি চৌকস ব্যক্তিরাও আজকাল এ ধরণের স্প্যাম বা স্ক্যামের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। এর কারণ একটাই। অপরাধীরা দিন দিন আরো চৌকস হয়ে উঠছে”।

 

মূল রচনা: কেলি হিউয়েট টেইলর

ইংরেজি থেকে ভাষান্তর: আহ্‌মদ ইকরাম আনাম

লেখা ও ছবি ইউনিভার্সিটি অভ অ্যালাবামার নিউজ সাইট থেকে সংগৃহীত

Tuesday, September 17, 2013

আমার Google সব জানে, শুধু প্রশ্ন করতে জানতে হয়

google_searchGoogle.com বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত Search Engine. কোন ধারণা আছে বেশি ব্যবহৃত দিয়ে কতটা বেশি বোঝান হচ্ছে? শুধু জুন-২০১৩ তে গুগল সার্চের সংখ্যা ১২.৮ বিলিয়ন (১২৮ কোটি)। একে ৩০ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যাবে দৈনিক গড় (৪.২৬৬ কোটি), তাকে ২৪ দিয়ে ভাগ করলে প্রতি ঘণ্টার গড় (১৭.৭৭৮ লাখ), তাকে আবার ৬০ দিয়ে ভাগ করলে প্রতি মিনিটের গড় (২৯.৬৩ হাজার), আবার ৬০ দিয়ে ভাগ করলে সেকেন্ডের গড় (৪৯৩.৮৩)। অর্থাৎ শুধু জুন মাসে ১৮১ টি দেশ থেকে ১৪৬ টি ভাষায় সম্মিলিতভাবে প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ৪৯৪ টি সার্চ দেয়া হয়েছে। আনুমানিক প্রতি ২ মাইক্রসেকেন্ডে একটি সার্চ (মজা নিচ্ছি না)। এটা শুধু জুন মাসের কথা বলছি, সারা বছরের পরিসংখ্যান নিয়ে একটু চিন্তা করেন। আর গুগলের অন্যান্য সেবা নিয়ে আপাতত কথা নাই বললাম।

সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে সবচেয়ে ভাল ফলাফল কিভাবে পাওয়া যায় তা জানতে হলে সার্চ ইঞ্জিনের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে খানিকটা ধারণা দেয়া দরকার। সার্চ ইঞ্জিনের কার্যপ্রণালী বলতে গেলে, অনেক কথা চলে আসে। সার্চ ইঞ্জিনের একটা নিজস্ব intelligence বা বুদ্ধিমত্তা আছে। এতে সার্চের সংখ্যা (search query) যত বেশি হবে, এর বুদ্ধিমত্তা তত উন্নত হবে। এর মূল কারণ সার্চ ইঞ্জিনের ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস হিসেবে অসংখ্য অ্যালগোরিদম চলতে থাকে, যা প্রতিনিয়ত প্রতিটি সার্চের অসংখ্য parameter এর হিসাব রাখে এবং indexing করতে থাকে। যত বেশি ব্যবহৃত হয়, এর সার্ভারের ইন্ডেক্সিং তত সমৃদ্ধ হয়। যার দরুন গুগল আপনার search pattern এর প্রোফাইল তৈরি করতে পারে। সহজ ভাষায়, আপনি গুগলে Lion সার্চ দিলে আপনার রেজাল্ট পেজে আগে সিংহ দেখাবে না লায়ন সাইকেল দেখাবে না লায়ন এয়ার এর ওয়েবসাইট দেখাবে তা নির্ভর করবে আপনার search history এর উপর। আপনি আগে গুগল সার্চে লায়ন লিখে সিংহের লিংকে কতবার ক্লিক করেছেন আর লায়ন এয়ারের লিংকে কতবার ক্লিক করেছেন তার ভিত্তিতে আপনাকে customized search result দিবে। এটা আরও নির্ভর করবে আপনার ভৌগোলিক অবস্থান, ভাষা, গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট, সার্চ প্যাটার্ন ও আরও অনেক কিছুর উপর। ব্যাপারটা কিছুটা আতঙ্কিত হওয়ার মতই।

যাই হোক, আসল কথা, গুগলের সার্চ ইঞ্জিন বর্তমানে সবচেয়ে সমৃদ্ধ হওয়ায় কোন কিছু ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি গুগল সার্চেই। বরং গুগল সার্চ এতটাই ব্যবহৃত হয় যে ইংরেজি ভাষায় “Google (verb)” একটি নতুন শব্দের সংযোজন হয়েছে, যার অর্থ গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ইন্টারনেটে কিছু খোঁজা। কোন কিছু ইন্টারনেটে থাকলে তা অবশ্যই গুগল সার্চ ইঞ্জিন জানে (অর্থাৎ গুগলের সার্ভারে তার সম্পর্কে তথ্য আছে), আপনি হয় পাতার পর পাতা সার্চ রেজাল্টে তা খুঁজে পান নাই, নতুবা গুগলকে বোঝাতে পারেন নাই আপনি ঠিক কি খুঁজছেন যার কারণে গুগল তা প্রথম কয়েক পাতায় দেখায় নাই। অর্থাৎ গুগলকে প্রশ্ন করতে জানতে হবে, উত্তর আপনি অবশ্যই পাবেন।

গুগলে সার্চ করার বেশ কিছু কৌশল আছে, যা আপনার search experience কে আরও সহজ করে আর ঠিক তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করে। তার অল্প কয়টা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

  • Search keyword: গুগল সার্চের ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। প্রতিদিন যেসকল কিওয়ার্ড সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলো ব্যবহার করলে সার্চ ফলাফল অনেক দ্রুত ও নিখুঁত হয়। সার্চ দেয়ার আগে একবার চিন্তা করে নেন, আপনি যা খুঁজছেন তা সবচেয়ে সহজে কি লিখে প্রকাশ করা যায়? সম্ভবনা বেশি যে ওই শব্দগুলো ব্যবহার করেই অধিকাংশ মানুষ একই জিনিস খোঁজে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সার্চ কিওয়ার্ডগুলো গুগল সার্চ ইঞ্জিন নিজেই suggest করে। ফলে সাধারণত সার্চে খুব বেশি কিওয়ার্ড সংক্রান্ত অসুবিধায় পড়তে হয় না।

  • Search Operator ব্যবহার করেনঃ

    • “ ” এর ভিতর যা লিখবেন সার্চ ইঞ্জিন ঠিক তাই খুঁজবে।




উদাহরণঃ “iferi rocks” লিখলে যত জায়গায় এই শব্দ দুটি এই sequence বা ক্রমে খুঁজে পাবে ওগুলো সার্চ ফলাফলে রাখবে।





    • কোন শব্দের আগে ব্যবহার করলে ওই শব্দ বাদ দিয়ে খুঁজবে।



উদাহরণঃ iferi -rocks লিখে সার্চ দিলে যত জায়গায় rocks ব্যতিত iferi খুঁজে পাবে ওগুলো সার্চ ফলাফলে রাখবে।





    • related: ব্যবহার করে কোন ওয়েবসাইটের ঠিকানা উল্লেখ করে দিলে ওই ওয়েবসাইটের সদৃশ অন্যান্য ওয়েবসাইট খুঁজে বের করবে।



উদাহরণঃ related: iferi.com/blog লিখে সার্চ দিলে অন্যান্য ব্লগিং ওয়েবসাইট গুলো সার্চ ফলাফলে দেখাবে।





    • filetype: ব্যবহার করে বিশেষ টাইপের ফাইল খোঁজা যায়।



উদাহরণঃ cycling tips filetype:pdf লিখে সার্চ দিলে সাইক্লিং টিপস সংক্রান্ত যত ডাউনলোডযোগ্য pdf ফাইল আছে শুধু সেই ফাইলগুলো সার্চ ফলাফলে দেখাবে।




[caption id="attachment_226" align="aligncenter" width="475"]filetype search filetype search[/caption]


    • site:  লিখে বিশেষ কোন ওয়েবসাইটের ঠিকানা উল্লেখ করে দিলে শুধু ওই ওয়েবসাইটে খুঁজবে।



উদাহরণঃ cycle accessories site:iferi.com লিখলে শুধু iferi.com এ cycle accessories সার্চের সকল ফলাফল দেখাবে।





    • * এবং “ ” এর সমন্বিত ব্যবহার কোন বিশেষ কিওয়ার্ডের মাঝখানে কোন শব্দ ভুলে থাকলে তা বের করে আনতে সাহায্য করে।



উদাহরণঃ “to be or * to * that is the *” লিখে সার্চ দিলে শেক্সপেয়ারের বিখ্যাত উক্তিটি বের হয়ে আসবে।





    • ~ ব্যবহার করে কোন কিওয়ার্ডের সমার্থক শব্দগুলো সার্চ করেতে পারেন।



উদাহরণঃ ~car লিখে সার্চ দিলে car এবং car এর সমার্থক শব্দগুলর সার্চ ফলাফল দেখাবে।





    • OR ব্যবহার করে কিওয়ার্ডের কম্বিনেশন করে সার্চ করা যায় ( | চিহ্নও OR এর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়)।



উদাহরণঃ jessica william OR williams OR wiliam লিখে সার্চ দিলে এই তিনটি last name এর jessica সংক্রান্ত সকল সার্চ ফলাফল দেখাবে।





    • #...# ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট দামের ভিতর পণ্য খোঁজা যায়।



উদাহরণঃ wrist watch ৳ 2000…৳ 5000 লিখে সার্চ দিলে ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে যত wrist watch পাবে সব সার্চ ফলাফলে দেখাবে।





    • daterange: ব্যবহার করে নির্দিষ্ট তারিখের ভিত্তিতে সার্চ করা যায়।



উদাহরণঃ iferi.com daterange:201203 লিখে সার্চ দিলে মার্চ ২০১২ এর iferi.com সংক্রান্ত সার্চ ফলাফল দেখাবে।




  • Search tools ব্যবহার করে আপনার সার্চ আরও সুনির্দিষ্ট করেন। আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী স্থান বা সময় ভিত্তিক narrow down করলে সার্চ করেতে আপনারই অনেক সুবিধা হবে। এছাড়া প্রয়োজনে ব্লগ, ভিডিও, ছবি, বই, খবর ও আরও অনেক category নির্দিষ্ট করে সার্চ অনেক সহজ করা যায়।

  • কোন কিছু খুঁজে পাওয়া নিতান্তই দুঃসাধ্য হলে Advanced search ব্যবহার করেন (ডান কোণায় উপরে চাকার মত বাটনে ক্লিক করলেই দেখা যাবে), জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া বিশেষ documents খোঁজার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা তো আছেই (google scholar, google patent etc).


[caption id="attachment_227" align="aligncenter" width="492"]Advanced Search Advanced Search[/caption]

এছাড়া কিছু সাধারণ ব্যাপার – গুগল সার্চ punctuation (@#%^ etc) ignore বা অগ্রাহ্য করে, case insensitive (বড়/ছোট হাতের লেখায় কোন পার্থক্য নেই), বানান ভুল হলে গুগল নিজেই তা ঠিক করে ফেলে। আরও মৌলিক গাণিতিক হিসাব করা, এক একক থেকে অন্য এককে রূপান্তর করা, মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী currency convert করা, সংজ্ঞা এবং dictionary বা অভিধান সার্চ, মানচিত্র ভিত্তিক সার্চ, ফ্লাইটের সময়সূচী, ছবি থেকে সার্চ (android ফোন ব্যবহার করে), এমনকি কথা বলেও (voice command) সার্চ করার সুব্যবস্থা আছে।

সত্য, google.com সার্চ ইঞ্জিন জগতের superhero.

Tuesday, September 3, 2013

কিভাবে ফেইসবুকে বন্ধুদের শেয়ার করা ছবির এ্যালবাম তৈরি করবেন

বিভিন্ন দিকে ব্যস্ত থাকার কারনে পিকনিকের সব ইভেন্টের ছবি তুলতে পারেননি? বন্ধুদের ফেইসবুক পেইজ থেকে দেখতে হচ্ছে তাদের তোলা পিকনিকের সব মজাদার মুহূর্তের ছবি? এখন আর সবার ফেইসবুক পেইজে গিয়ে আলাদাভাবে ছবি দেখতে হবে না। তার বদলে নিজেই বানান ফেইসবুকে সব বন্ধুদের শেয়ার করা ছবির এ্যালবাম।

সম্প্রতি এই সামাজিক যোগাযোগের সাইটটি একটি নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে যেখানে সর্বচ্চো ৫০ জন ব্যবহারকারী একটি এ্যালবামে ছবি শেয়ার করতে পারবেন (এটি অবশ্য পেইজগুলোর এ্যালবামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।

আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আপনি খুব সহজেই ফেইসবুকে বন্ধুদের শেয়ার করা ছবির এ্যালবাম বানাবেন।

প্রথম ধাপঃ

ফেইসবুকে লগ ইন করার পর ‘News Feed’ এর বাম দিক থেকে অথবা প্রোফাইল পেইজের উপর থেকে ‘Photos’ ট্যাব এ ক্লিক করুন।

 Pix 1


এবার ডান দিকের কর্নার থেকে ‘Create Album’ ট্যাব এ ক্লিক করুন।

Pix 2


দ্বিতীয় ধাপঃ

Tutorial1


যে ছবিগুলো আপলোড করতে চান সেগুলো সিলেক্ট করুন (আপনি পরেও এখান থেকে আরো ছবি আপলোড করতে পারবেন ‘Edit’ বাটনে ক্লিক করে)।  এবার অন্যান্য ছবির এ্যালবামের মতই এ্যালবাম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেয়ার অপশন আসবে। এ্যালবাম শেয়ার এর ফিচারটি কার্যকর করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিচে ডান দিকের কর্নার থেকে ‘Post Photos’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তৃতীয় ধাপঃ

Tutorial2


পরবর্তী স্ক্রিনের উপরে বাম দিকের কর্নারে আপনি দেখতে পাবেন ‘Make Shared Album’ অপশনটি। এখানে ক্লিক করার পর আপনি সর্বচ্চো ৫০ জন ফেইসবুক বন্ধুকে এ্যালবাম শেয়ার করার জন্য ‘Contributor’ হিসেবে সিলেক্ট করতে পারবেন। আপনি যাদের সিলেক্ট করবেন শুধুমাত্র তারাই এই এ্যালবামে ছবি শেয়ার করতে পারবেন।

Tutorial3


এখান থেকে আপনি এ্যালবামের প্রাইভেসি সেটিংসও সিলেক্ট করতে পারবেন।

Tutorial4


শেয়ার করা এ্যালবামে তিন ধরনের প্রাইভেসি সেটিংস সিলেক্ট করা যায়ঃ ‘Public’, ‘Friends of contributors’, ‘Contributors only’। আপনি চাইলে ‘Contributors’ দের আরো ‘Contributors’ add করার অনুমতি দিতে পারেন। আর ‘Contributors only’ সিলেক্ট করা হলে যিনি এ্যালবামটি তৈরি করেছেন শুধুমাত্র তিনিই বন্ধুদেরকে সিলেক্ট করতে পারবেন ছবি শেয়ার করার জন্য।

আপনি চাইলে শেয়ার করা এ্যালবামের সেটিংস বদলও করতে পারবেন। তার জন্য এ্যালবামটি প্রথমে খুলতে হবে এবং উপরে ডান দিকের কর্নার থেকে ‘Edit’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনি ‘Contributor’ Add অথবা Remove করতে পারবেন, এ্যালবামের নাম ও অন্যান্য সেটিংসও বদলাতে পারবেন।

তবে ফেইসবুকের এই নতুন ফিচারটি এখনও সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। পরীক্ষামূলকভাবে অল্প কিছু ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ফিচারটি সকল ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

সূত্রঃ Mashable