Sunday, September 8, 2013

জরুরি অবস্থায় কী করবেন?

দুর্ঘটনার সাথে সাথে একজন মানুষের উপস্থিতি ও তার প্রতিক্রিয়ার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। উপস্থিতি কপালের উপর, কিন্তু প্রতিক্রিয়া মানসিক স্থিতি ও কি করতে হবে তা জানার উপর নির্ভরশীল। আগের পোস্টে First Aid কি ও কেন তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে (http://iferi.com/blog/2013/08/first-aid-1/)। তাও মনে করিয়ে দেই, আপনি First Aid দিবেন, ডাক্তারি ফলাবেন না। সাহায্যের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন/করান। কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হবে এই পোস্টে তা জেনে নেয়া যাক।

কেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে –

[caption id="attachment_249" align="alignleft" width="216"]Photo Courtesy: www.shutterstock.com Photo Courtesy: www.shutterstock.com[/caption]

  • অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে যেভাবে হোক রক্ত পড়া বন্ধ করতে হবে। ক্ষতস্থানে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখতে হবে যতক্ষণ রক্ত পড়া বন্ধ না হয়। দূর্বা ঘাস রক্ত বন্ধে সহায়ক, যা আমাদের দেশের আনাচে কানাচে পাওয়া যায়। দূর্বা ঘাস পেস্ট করে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

  • ক্ষতস্থান ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। তাতে Infection বা জীবাণু সঙ্ক্রমণের সম্ভবনা কমে। পারলে ডেটল বা স্যাভলন পরিষ্কার তুলা বা কাপড়ে লাগিয়ে তা ব্যবহার করে পরিষ্কার করেন। এছাড়া হলুদ বাটা, নিম পাতা ও তুলসি পাতা জীবাণু নাশকের কাজ করে। এগুলোও ব্যবহার করা যেতে পারে।

  • রক্ত পড়া বন্ধ না হলে অনেক সময় ক্ষতস্থান উঁচা জায়গায় রাখলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায় (হাত বা পা কেটে গেলে)। প্রয়োজনে রোগীকে শোওয়ায়ে দেন।

  • রক্ত জমাট বেধে রক্ত পড়া বন্ধ হলে জমাট বাধা রক্ত সরানো যাবে না, তাতে রক্ত পড়া শুরু হওয়ার সাথে ক্ষতস্থান দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করে সঙ্ক্রমণের সম্ভবনা বাড়ে। আশপাশের পরিবেশ নোংরা থাকলে বা ক্ষতস্থান থেকে সঙ্ক্রমণের সম্ভবনা থাকতে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান ঢেকে দিতে হবে।


 

 

পুড়ে গেলে –

[caption id="attachment_250" align="alignleft" width="278"]Rinse with Water Rinse with Water[/caption]

  • পোড়া জায়গায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রচুর পরিমাণ পানি ঢালতে হবে। এটাই প্রথম এবং প্রধান কাজ। পোড়ার ১ মিনিটের মধ্যে পানি ঢাললে পোড়া সংক্রান্ত অনেক জটিলতা কমে যায়।

  • পোড়ার চিকিৎসার জন্য বিশেষ কিছু ক্রিম পাওয়া যায়। সম্ভব হলে পোড়া জায়গায় তা লাগাতে হবে। এগুলা জ্বলা কমায় আর জীবাণু নাশকের কাজ করে। ক্রিম না পাওয়া গেলে টুথপেস্টও ব্যবহার করা যেতে পারে, এতে পোড়া স্থান আশপাশের পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আর জীবাণু সঙ্ক্রমণের সম্ভবনা কমে।

  • কোনক্রমে পোড়া জায়গা বেশি নাড়াচাড়া করা যাবে না; যেন যথাসম্ভব কম নাড়াচাড়া হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

  • ফোস্কা পড়ে গেলে কনক্রমেই তা গালানো যাবে না। ফোস্কা পড়ার সম্ভবনা থাকলে ব্যান্ডেজ হাল্কা করে বাঁধতে হবে।

  • এসিড জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্যে পুড়ে গেলে এক পোয়া পানিতে দুই চামুচ খাবার সোডা বা কাপড় কাঁচার সোডা মিশিয়ে পানিকে ক্ষারীয় করে নিয়ে তা দিয়ে ধোওয়া যায়। ক্লাস এইটে শেখা – এসিড + ক্ষার = লবণ + পানি।

  • একই কারণে ক্ষার বা চুন জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্যে পুড়ে গেলে পানিতে সমপরিমাণ লেবুর রস বা ভিনেগার মিশিয়ে পানিকে এসিডিও করে তা দিয়ে ধোওয়া যায়।

  • সবশেষে, মানসিক আঘাত প্রতিহত করার ব্যবস্থা করতে হবে।


অজ্ঞান হয়ে গেলে –

  • অবশ্যই ABC পরীক্ষা করতে হবে ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে (পূর্বের পোস্ট দ্রঃ http://iferi.com/blog/2013/08/first-aid-1/)।

  • সাধারণত কোন কারণে হঠাৎ মাথায় রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। তাই অজ্ঞান হলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে হবে। রোগীকে সোজা করে শোওয়ায়ে দিতে হবে, পায়ের নিচে কিছু দিয়ে পা খানিকটা উঁচাতে রাখতে হবে। তাতে মাথায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

  • পর্যাপ্ত বাতাস যেন গায়ে লাগে সে ব্যবস্থা করতে হবে; গলা, কোমর ও বুকের কাপড় আলগা করে দিতে হবে; সম্ভব হলে বাতাস করার ব্যবস্থা করতে হবে।

  • ভিজা কাপড় দিয়ে রোগীর মুখ, ঘাড় ও কান মুছে দিতে হবে। জ্ঞান ফিরলে অল্প অল্প করে পানি খেতে দিতে হবে।


বৈদ্যুতিক শক লাগলে –

[caption id="attachment_251" align="alignleft" width="140"]Precautions of rescuing an Electric Shock victim, Photo Courtesy: www.ars.usda.gov Precautions of rescuing an Electric Shock victim, Photo Courtesy: www.ars.usda.gov[/caption]

  • প্রথমেই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে হবে। যেকোনো মূল্যে ব্যক্তি ও বিদ্যুৎ আলাদা করতে হবে। সুইচ থাকলে অফ করে দিতে হবে, প্লাগ থাকলে খুলে ফেলতে হবে, কিছু না থাকলে তার যদি কাটা সম্ভব হয় তবে তা করতে হবে। সাবধান, ছুরি, কাঁচি বা ধাতব কিছু দিয়ে তার কাটা যাবে না, তাতে নিজেই বৈদত্যতিক লাইনের সাথে চিপকায়ে যাবেন। আর কিছুই না থাকলে একটা শুকনা বাঁশ, কাঠ বা লাঠি দিয়ে ধাক্কা মেরে ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ভালভাবে নিশ্চিত হন যে বিপদ কেটে গেছে। উচ্চ ভোল্টেজ হলে অনেক সময় সুইচ বন্ধ করলেও স্পার্ক হয়।

  • উদ্ধারের সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাবার স্যান্ডেল/জুতা পরতে হবে, পারলে রাবার গ্লাভও। কোনক্রমেই ভিজা অবস্থায় উদ্ধারকাজ করা যাবে না।

  • উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক শক লাগলে অনেক সময়েই শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদযন্ত্র/হার্ট বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধার সম্পন্ন হলে রোগীর শ্বাস ও পালস পরীক্ষা করতে হবে। পালস পাওয়া না গেলে CPR আর শ্বাস বন্ধ হলে কৃত্রিম শ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে, সাহায্য আসা পর্যন্ত (এই দুইটি পদ্ধতি নিয়ে পোস্টের শেষে আলোচনা করা হয়েছে)।

  • পুড়ে গেলে তার প্রতিবিধান দিতে হবে, মানসিক আঘাত প্রতিহতের ব্যবস্থা করতে হবে।


 

হার্ট অ্যাটাক –

  • লক্ষণ দেখে বোঝার চেষ্টা করেন এটা হার্ট অ্যাটাক কিনা। বুকে চাপ বাড়বে ও প্রচণ্ড ব্যাথা হবে, শরীর শক্ত হয়ে যাবে, প্রচণ্ড ঘামবে ও অস্থিরতা প্রকাশ পাবে, শ্বাস অনেক দ্রুত হয়ে যাবে।

  • হার্ট অ্যাটাকে সাধারণভাবে সাহায্য পৌঁছানো পর্যন্ত বেশি করার থাকে না। অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তির যতটা সম্ভব শান্ত রাখতে হবে, আরামের ব্যবস্থা করতে হবে, গলা ও কোমরের কাপড় আলগা করে দিতে হবে।

  • রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে আর হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে CPR  এর ব্যবস্থা করতে হবে।


এজমা অ্যাটাক –

  • যত দ্রুত সম্ভব রোগীর inhaler তার হাতের কাছে পৌঁছাতে হবে। রোগীর কাছে inhaler থাকলে এবং সে বলতে পারলে সবচেয়ে ভাল। না থাকলে আশেপাশে জিজ্ঞেস করে দেখেন কারো কাছে inhaler আছে কিনা।

  • রোগীকে যতটা সম্ভব আরামদায়ক অবস্থায় সোজা করে বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

  • রোগীর সাথে থেকে তাকে বারবার আশ্বস্ত করতে হবে। রোগীর মানসিক স্থিতি আর পরিস্থিতি এই অবস্থায় অনেক বড় ভূমিকা রাখে।


ডুবে গেলে -

  • কখনো পরিস্থিতি না বুঝে হিরো সেজে ডুবন্ত মানুষকে বাঁচাতে পানিতে লাফ দিবেন না। ডুবন্ত মানুষ হাতের কাছে যা পাবে তাই আঁকড়ে ধরে উপরে উঠতে চাবে। নিজের সাঁতারের দক্ষতা, ডুবন্ত ব্যক্তির ওজন, পানির অবস্থা, আশপাশে সাহায্য আছে কিনা সব বুঝে যদি মনে করেন উদ্ধার করতে পারবেন এগিয়ে যান।

  • পানি থেকে উঠিয়েই ABC পরীক্ষা করেন। মুখ নাক পরিষ্কার করেন, বাতাসের রাস্তা খোলার ব্যবস্থা করেন। পালস পরীক্ষা করেন, হার্ট বন্ধ হলে CPR দেন।

  •  ফুসফুসে পানি ঢুকে থাকলে আর রোগী অচেতন থাকলে পানি বের করার ব্যবস্থা করতে হবে।  Schafer's Method ব্যবহার করে সাধারণত ফুসফুসের পানি বের করা হয়। এটা মূলত কৃত্রিম শ্বাসের একটি পদ্ধতি, কিন্তু ফুসফুসের পানি বের করতেও অতি প্রচলিত। পোস্টের শেষে এর বর্ণনা দেয়া হয়েছে।


 

[caption id="attachment_254" align="alignleft" width="165"]Artificial Breathing, Photo Courtesy: www.josuenieves.hubpages.com Artificial Breathing, Photo Courtesy: www.josuenieves.hubpages.com[/caption]

Last but not the least.

কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতি দুর্ঘটনায় বিভিন্ন কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হতে পারে, আর রোগীর শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে রোগীকে কয়েক মিনিটের বেশি বাঁচানো কঠিন হয়ে যাবে। তাই রোগীর শ্বাস স্বাভাবিক করতে কৃত্রিমভাবে শ্বাস দেয়া হয়। যতক্ষণ না শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষন কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যেতে হয়। কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের অনেকগুলো পদ্ধতি আছে। তবে মাউথ টু মাউথ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এর কারণ – একসাথে অনেক বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করে, প্রয়োগ অনেক সহজ এবং পরিশ্রম কম।

মাউথ টু মাউথ –

  • রোগীর নাকে মুখে ময়লা থাকলে পরিষ্কার করে নেন, বাতাসের পথে ময়লা আবর্জনা আছে কিনা পরীক্ষা করে নেন।

  • রোগীকে চিত করে শোওয়ান। চিবুক ধরে মাথা পিছনের দিকে কাত করান (যেন চিবুক উপরের দিকে থাকে), এতে বাতাসের পথ পরিষ্কার হয়। দরকার হলে ঘাড়ের নিচে এক টুকরা কাপড় বা নরম কিছু দেন।

  • এক হাতে রোগীর মাথা চেপে ধরেন আর আঙ্গুল দিয়ে নাক বন্ধ করে ফেলেন। অন্য হাতে রোগীর মুখ ফাঁক করেন। নিজে যত বাতাস নিতে পারেন ফুসফুসে নিয়ে রোগীর মুখের ভিতর স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করান। খেয়াল রাখতে হবে যেন বাতাস বাইরে বের না হয় এবং রোগীর ফুসফুসে যায়। যখন রোগীর বুক ফুলে উঠবে তখন ছেড়ে দিতে হবে যেন বাতাস বের হয়ে যায়। এভাবে মিনিটে ২০-২৫ বার পুনরাবৃত্তি করতে হবে, যতক্ষণ না সাহায্য আসে।


Schafer's Method - এটি কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ব্যবহৃত আরেকটি প্রচলিত পদ্ধতি। সাধারণত কোন কারণে মাউথ টু মাউথ দেয়া সম্ভব না হলে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, ফুসফুস থেকে পানি বের করতেও এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

  • রোগীকে উপুড় করে শোওয়ায়ে হাত দুটো ভাঁজ করে মাথার উপরে ছড়িয়ে দেন।

  • মাথা যেকোনো একদিকে কাত করে দেন যেন শ্বাস নিতে সমস্যা না হয়।

  • এরপর রোগীর মাথার দিকে মুখ করে শরীরের এক পাশে হাঁটু গেঁড়ে অথবা পা দুই পাশে ছড়িয়ে দিয়ে উপরে বসেন।

  • দুই হাত দিয়ে কোমরের দুই পাশে ধরেন যেন বুড়া আঙ্গুল দুটা সামনের দিকে আর বাকি আঙ্গুলগুলা শরীরের দুই পাশে থাকে। হাত এবং কনুই সোজা থাকবে।

  • এবার হাত না বাঁকিয়ে হাল্কা করে সামনের ঝুকে চাপ দেন।  এই চাপে পেটের সকল অংশে চাপ পড়বে এবং ফুসফুসে পানি থাকলে তা বের হওয়া শুরু করবে। চাপ প্রয়োগ ২ সেকেন্ড, সরানো ৩ সেকেন্ড, মোট ৫ সেকেন্ডের কাজটি বারবার করতে হবে, যতক্ষণ না ফুসফুসের পানি বের হয়ে যায় আর শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।


[caption id="attachment_260" align="aligncenter" width="220"]Schafer's Method for pushing water out of lungs, Photo Credit: www.wikisource.org Schafer's Method for pushing water out of lungs, Photo Credit: www.wikisource.org[/caption]

CPR – বিশ্বাস করেন, Cardiopulmonary Resuscitation বললে সবাই হা হয়ে আপনার দিকে তাকায়ে থাকবে, তাই ভাল হয় CPR ই বলেন। হার্ট বন্ধ হলে CPR একমাত্র First Aid । যদিও ডাক্তারেরও খুব বেশি কিছু করার থাকে না, একটা বড় মেশিনে চার্জ করে ইলেকট্রিক শক মেরে হার্ট পুনরায় চালানোর চেষ্টা করা হয়। বাকি মালিকের ইচ্ছা, হায়াত থাকলে চলে, না থাকলে উসপার!

পদ্ধতি –

  • রোগীকে চিত করে শোওয়ায়ে দেন, যতটা সোজা আর সমান করে শোওয়ানো যায়। নাহলে পিঠে ব্যাথা পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। নিজে পাশে গিয়ে বসেন।

  • এক হাতের তালু বুকের হাড়ের উপরে দুই নিপলের মাঝখানে রাখেন। অপর হাতটি এই হাতের উপর রাখেন। পারলে উপরের হাতের আঙ্গুল আরেক হাতের আঙ্গুলের সাথে পেঁচিয়ে ফেলেন।

  • সোজা ও শক্ত হয়ে এমনভাবে বসেন যেন আপনার শরীর আপনার হাত দুটোর উপর থাকে এবং আপনি চাপ প্রয়োগ করতে পারেন।

  • বুকের ঠিক মাঝখানে হাড়ের উপর চাপ দেন। এই চাপকে CPR এর ভাষায় compression বলে। চাপে বুক আনুমানিক ২ ইঞ্চি নেমে আসবে। কম চাপ পড়লে কোন কাজে লাগবে না, বেশি চাপ পড়লে হাড়ে ফাটলের সম্ভবনা। এভাবে ৩০টা compression দেন। গতি এমন হবে যেন ৩০ টা দিতে ১৫-২০ সেকেন্ড লাগে।

  • ৩০ টা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড বিরতি দেন, তারপর আবার ৩০ টা দেন। এভাবে অন্তত ২ মিনিট দিতে থাকেন, তারপর দেখেন পালস পান কিনা। না পেলে আবার শুরু করেন।


[caption id="attachment_253" align="aligncenter" width="252"]CPR, Photo Courtesy: www.medstorerx.com CPR, Photo Courtesy: www.medstorerx.com[/caption]

পূর্বে কৃত্রিম শ্বাস CPR এর একটা অংশ ছিল, ৫ রাউণ্ড compression দিয়ে ২ টা মাউথ টু মাউথ কৃত্রিম শ্বাস দেয়া হত। কিন্তু ২০১০ সালে আমেরিকান মেডিকাল এসোসিয়াশান জানাল শুধু compression দিলেই হয়, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম শ্বাস না দিলেও চলে। যদি একান্তই দিতে হয় তাহলে দিতে পারেন।

1 comment:

  1. [...] দেখে নেন – http://iferi.com/blog/2013/08/first-aid-1/, http://iferi.com/blog/2013/09/first-aid-2/)। সরাসরি কিভাবে-তে চলে যাই, অস্থি বা [...]

    ReplyDelete