গলফের এ সম্ভাবনা অনুধাবন করতে হলে এ খেলার কিছু টার্ম আমাদের জানতে হবে। আমি নিজেও কিছুই জানি না। অল্প-স্বল্প হোমওয়ার্ক করে চলে আসলাম আপনাদের ক্লাস নিতে। আর সে জন্যেই আজকের এই গলফ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের আয়োজন করা হলো। তো শুরু হয়ে যাক খালি হাতে গলফ শিক্ষা।

১. Club ক্লাব: যে ডান্ডাটা আমরা দেখি খেলোয়াড়দের হাতে অর্থাৎ যেটা দিয়ে বলকে আঘাত করা হয় তাকেই বলে ক্লাব।
২. Bogey বোগি: গলফের ক্ষেত্রে নির্ধারিত যে ক’টি শটে বলকে গর্তে ফেলতে হয় সে ক’টি শট নিয়ে যদি বলকে গর্তে ফেলা না যায় তখন প্রতিটি অতিরিক্ত শটকে বলা হয় বোগি। যত বেশি বোগি নিতে হয় তত ডিসক্রেডিট। মানে স্কোরে পিছিয়ে থাকতে হয়।
৩. Birdie বার্ডি: বোগির উল্টোটাই বার্ডি। অর্থাৎ, যে কয় শটে গর্তে বল পাঠানোর কথা তার চেয়ে একটি শট কম লাগলে তাকে বলা হচ্ছে বার্ডি। যত কম শটে বলকে গর্তে পাঠানো যায় স্কোর তত ভালো হয়, অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে এগিয়ে থাকা যায়।
৪. Eagle ঈগল: ডাবল বার্ডি হচ্ছে ঈগল। মানে নির্ধারিত শটের চেয়ে দুই শট কম নিয়েই যদি বলকে গর্তে পাঠানো যায় তাহলে তাকে বলা হয় ঈগল।
৫. Tee টি: টি হচ্ছে যে ছোট্ট কাঠ বা প্লাস্টিকের পিনের মতো জিনিস যার ওপর বল রাখা হয়। গলফার যখন কোনো হোলে বল ফেলার জন্য প্রথম শট নেন তখন বলটি ঐ টি’র ওপরেই রাখা থাকে।
৬. Tee Shot টি শট: হোলে বল ফেলার জন্য প্রথম শটকে বলা হয় টি শট।
৭. Hole হোল: যে গর্তে বল ফেলতে হয়।
৮. Par পার: যে কয়টি শটে বলকে গর্তে ফেলতে হয়। পার শটের চেয়ে এক শট বেশি নিলে তাকে বলা হয় বোগি আর এক শট কম নিতে হলে তাকে বলে বার্ডি।
৯. Pin পিন: যে গর্তে বল ফেলতে হয় সেখানে যে পতাকা পোঁতা থাকে তার স্টিকটাকে পিন বলে।
এবার খেলার নিয়ম সম্পর্কে কিছু কথা বলি। একটি পূর্ণ গেইমকে বলা হয় কোর্স। এই একটি কোর্সে সাধারণত ১৮ টি গর্ত থাকে। খেলার শুরুতে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ‘পার’ থাকে সমান। অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শট বা স্ট্রোক নিয়ে প্রতিটি গর্তে বল ফেলতে হয়। যে খেলোয়াড় যত কম শট মেরে গর্তে বল ফেলতে পারে সে-ই এগিয়ে থাকে। এখানে পার হচ্ছে স্কোরের মতো। কিন্তু যত কম পার তত ভালো। প্রত্যেকটি গর্তে বল ফেলার জন্য কিন্তু সমান পার থাকে না। সাধারণত চারটি পার-৩, দশটি পার-৪ এবং চারটি পার-৫ অর্থাৎ মোট ৭২ টি রাউন্ড থাকে। কোন গর্তে বল ফেলার জন্য পার কত হবে তা নির্ভর করে টি থেকে হোলের দূরত্বের ওপর। যত দূরে হোল থাকবে তত বেশি পার হবে বা স্ট্রোক নেয়া যাবে। যে রাউন্ডে ৩টি শট বা স্ট্রোকে বল গর্তে ফেলতে হবে সেটিতে টি থেকে হোল বা পিনের দূরত্ব হয় ৯০ থেকে ২৩০ মিটার। আবার পার-৪ বা ৪ শটে বল ফেলার রাউন্ডের ক্ষেত্রে টি থেকে পিনের দূরত্ব হয় ২৫০ থেকে ৪৫০ মিটার আর পার-৫ এর ক্ষেত্রে এ দূরত্ব ৪১০ থেকে ৫৫০ মিটার।
একজন গলফারকে ঝোপ-ঝাড়, পানি, ঢাল এসব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে হোলের কাছে পৌঁছতে হয়। হোলের অবস্থান তিনি জানতে পারেন দূর থেকে ফ্ল্যাগ দেখে। যে জায়গায় হোল, পিন এবং ফ্ল্যাগ থাকে তাকে বলে ‘গ্রিন’। খেলোয়াড়দের মূল লক্ষ্য থাকে যত কম শটে পারা যায় বলকে গ্রিনে নিয়ে আসা। এরপর আলতো টোকায় বলকে গর্তে পাঠানো।
নিচে সিদ্দিকুরের বিজয় নিয়ে ইত্তেফাকের একটি প্রতিবেদনের লিংক দিলাম। আশা করি, যারা গলফ সম্পর্কে জানতেন না তারা প্রতিবেদনটি পড়ে বুঝতে পারবেন কীভাবে সিদ্দিকুর নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হলেন।
http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMTFfMTBfMTNfMF8wXzNfODQ3MDg%3D
আমি বড় হয়ে গলফার হইতে ছাই !
ReplyDelete