ব্ল্যাক হোল এর নাম শুনিনি আমন মানুষ এর সংখ্যা কমই আছে । আমরা জানি আমাদের সূর্য একদিন ব্ল্যাক হোলে পরিনীত হবে এবং আমদের সবকিছু একদিন একটা ব্যাক হোলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ।
এখন আসি ব্ল্যাক হোল প্রসঙ্গে ।মহাকাশে আছে শত শত ব্ল্যাক হোল ।কিভাবে সৃষ্টি হোল এই ব্ল্যাক হোল ।জন মিশেল নামেৎ আরেক বিজ্ঞানী ধারণা করলেন, যেহেতু আলোর বেগের সীমা আছে তাই অন্য কণার মতো আলোর কণাও মহাকর্ষ বলের বলের দ্বারা প্রভাবিত। তিনি নক্ষত্রের কথা ভাবতে গিয়ে হিসাব করে দেখলেন, একটা নক্ষত্র যদি যথেষ্ট বড় হয় (অনেকটা চন্দ্রশেখরের লিমিটের মতো), তার ঘনত্ব যদি নির্দিষ্ট হয় তাহলে তার থেকে যে আলোর কণা নির্গত হয় সেটা সেই নক্ষত্রের ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবে না। নক্ষত্রের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে সেটা আবার নক্ষত্রের বুকে ফিরে আসবে। আলোক রশ্মি যদি বেরিয়ে আসতে না পারে তাহলে সে নক্ষত্র আমাদের দৃষ্টিগোচর হবে না। এর তখনই সৃষ্টি হবে ব্ল্যাক হোল ।
সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এই মাতবাদ সঠিক মনে হয় ।আইনস্টাইনের জেনারেল থিয়োরি অব রিলেটিভিটির কারণেই এই মাতবাদ কে সঠিক বলার কোন আবকাশ থাকল না। জন মিশেলে এই ব্ল্যাকহোল তত্ত্বে একটা ঝামেলা আছে। আলোর কণার বেগ সেকেণ্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার। সেটা কখনো বাড়েও না কমেও না। বিরাট গতির আলোর কণার বেগ মহাকর্ষ বলের প্রভাবে কমতে শুরু করবে, একসময় সেটা থেমে যাবে তারপর আবার পেছন দিকে ফিরে আসবে এটা পদার্থ বিদ্যায় অসম্ভব একটা ব্যাপার।
তাহেলে কি আসলে ব্ল্যাক হোল বলে কিছু নেই ?এ প্রশ্নের জবাব টা বিজ্ঞানীরাই দিয়েছেন ।আইনস্টাইনের স্পেশাল থিয়োরি অব রিলেটিভিটি বলে, আলো গতি মহাবিশ্বের সব জায়গায় এক। এই গতি কখনো যেমন বাড়ানো কমানো যায় না তেমনি একে থামানোরও উপায় নেই। তাহলে ব্ল্যাক হোলের মহাকর্ষ টানের প্রভাবে থামে কীভাবে ? এর সমাধান রয়েছে আইনস্টাইনের স্পেশাল থিয়োরি অব রিলেটিভিটিতে। এ থিয়োরিতে আইনস্টাইন বলেছেন নক্ষত্রের মতো বিশাল ভরের বস্তু পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আলোক রশ্মি গতিপথ বেঁকে যায়।
ব্ল্যাকহোলেও একই ব্যাপার ঘটে। ব্ল্যাকহোল থেকে নির্গত আলোক রশ্মি এর মহাকর্ষ বলয় থেকে বের হতে চাইলেও পারবে না; মহা শক্তিশালী মহাকর্ষ টানে বার বার বেঁকে যাবে, গতিপথ পরিবর্তন করবে কিন্তু বের হতে পারবে না আবার থামবেও না।
এখন কেউ যদি আমকে প্রশ্ন করে যে ব্ল্যাক হোল তো দেখা যায় না ,তাহলে এটা কি ভাবে বিশ্বাস করব ।তার উত্তর হোল বেঁকে যাওয়া এই আলোর গতি প্রকৃতিই ব্ল্যাক হোলের অস্তি¡ত্বের ঘোষণা দেয়।
No comments:
Post a Comment