আমরা জানি আমাদের চেনাজানা জগতে মাত্রা বা dimension তিনটা-দৈর্ঘ্য,প্রস্থ ও উচ্চতা। কিন্তু এছাড়াও আরেকটা মাত্রা বা চতুর্থ মাত্রা হিসেবে অনেক সময় সময়ের নাম উল্লেখ করা হয়। মাত্রার সংখ্যা যখন তিন এর বেশি হয়ে যায় তখনি আসলে জিনিসগুলো একটু জটিল দিকে চলে যায়। কিন্তু যদি খুব গভীরে না যাই তাহলে চতুর্থ মাত্রা নিয়ে আলোচনা করাটা খুবই ইন্টারেস্টিং! আমি যতটা সহজে পারা যায় বলার চেষ্টা করছি।
এই যে তিনটা মাত্রা আছে এই তিনটা মাত্রার কাজটা কী আসলে? এদের কাজ হতে পারে কোন বস্তুর বিভিন্ন অংশের পরিমাপ, আয়তন পরিমাপ আর যেটা নিয়ে আমরা এখন এগিয়ে যাব তা- বস্তুর অবস্থান নির্দিষ্ট করা।
ধরা যাক (x,y,z) বিন্দুতে একটা বস্তু আছে। এই যে আমি বস্তুর অবস্থানটা নির্দিষ্ট করে দিলাম, তা কীভাবে হলো?আমি x-axis বরাবর x দূরত্ব গেলাম,y-axis বরাবর y দূরত্ব গেলাম, z-axis বরাবর z দূরত্ব গেলাম। আরেকটু ভেঙ্গে বললে বলা যায় x,y,z এই তিনটা axis বা dimension বরাবর যথাক্রমে x,y,z দূরত্ব অতিক্রম করে আমি বস্তুটাকে পেয়ে গেলাম বা বস্তুর অবস্থানে পৌঁছে গেলাম। অর্থাৎ dimension বা মাত্রা আমাদের কোন বস্তুর অবস্থান বের করতে সাহায্য করে।
এবার একটু উদাহরণে আসা যাক। ধরা যাক, আমি আমার বন্ধুকে বললাম, আমি তার সাথে আমার বাসার কাছাকাছি কোন বিল্ডিং এর দুইতলায় গিয়ে দেখা করব। আমার বাসার কোন একটা বিন্দুকে মূলবিন্দু ধরে আমাদের যেখানে দেখা করার কথা সেই জায়গার অবস্থান কিন্তু বের করে ফেলা সম্ভব। হতে পারে ঐ জায়গাটার স্থানাংক হল (২০০মিটার, ৫০০মিটার, ৪ মিটার) মানে আমার বাসা থেকে একটা দিকে (x-axis)২০০মিটার, তার সাথে লম্ব কোন দিকে(y-axis) ৫০০ মিটার এবং এই দুইদিকের সাথেই লম্ব কোন দিকে(z axis, দুইতলা উচ্চতার জন্য) ৪ মিটার গেলেই আমরা নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে যাব।
সবই হলো, শুধু একটা ব্যাপার ক্লিয়ার করা হলো না। আমরা কখন দেখা করব? সময়টাতো বলা হলো না।তাই আমাদের অবস্থানের ব্যাপারটাও কিন্তু পুরোপুরি ক্লিয়ার হলো না। আমাদের একটা সময় ঠিক করতে হবে এবং বলে দিতে হবে যে ঐ সময়ে আমরা ঐ জায়গাটাতে থাকব।
যা বোঝাতে চাচ্ছি তা হচ্ছে একটা বস্তুর অবস্থান বের করতে বা তা কই আছে তা ক্লিয়ারকাট বলে দিতে হলে আমাদের শুধু এই তিনটা মাত্রাই নয়, সাথে আরো একটা জিনিসের সাহায্য নিতে হয়। তা হচ্ছে সময় এবং এ কারণেই চতুর্থ মাত্রা হিসেবে সময়কে চিন্তা করে নেয়াটা খুবই লোভনীয়। অনেক সময় তাই চতুর্থ মাত্রা হিসেবে সময়ের নাম উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু কিছু সমস্যা রয়ে যায় এক্ষেত্রে। যেমনঃ x-axis বরাবর নিজের অবস্থান অপরিবর্তিত রেখে (x-axis এ নিজেকে স্থির রেখে) আমরা y বা z-axis বরাবর যেতে পারি। সময়কে কিন্তু আমরা স্থির করতে পারি না। সে তার মত চলছেই।
তবুও অনেক সময় দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার সাথে সময়কে ৪র্থ মাত্রা বলা হয়।
No comments:
Post a Comment