Tuesday, December 10, 2013
সমান্তরাল মহাবিশ্ব নিয়ে টুকিটাকি
প্যারালাল ইউনিভার্স বা সমান্তরাল মহাবিশ্ব ইদানিং কালের মাথা নষ্ট করা বিষয় গুলোর মধ্যে একটি। কিছু জগতখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানীদের এই বিষয় নিয়ে তুমুল আগ্রহ ও বকবকানি দেখে সাধারন মানুষের মনে হতেই পারে কেন এই পাগলদের বৃথা আস্ফালন (!!!)? সমান্তরাল মহাবিশ্ব? এটা আবার কী? বিষয়টা বোঝা যাবে যদি সমান্তরাল মহাবিশ্ব সম্পর্কে কিছুটা ধারনা থাকে।
শুরুতেই বলি মালটিভার্স বা মালটিইউনিভার্স এর কথা। মালটিভার্স হল একটি থিওরি বা তত্ত্ব যা বিজ্ঞানী জন উইলার ও হাগ ইভারট এর দেওয়া ,এই তত্তানুসারে আমাদের মহাবিশ্ব মোটেও একলা নয়! এই তত্ত্ব মতে আমাদের এই মহাবিশ্বের পাশাপাশি অসংখ্য মহাবিশ্ব অবস্থিত। এই মহাবিশ্ব গুলো সমান্তরালে অবস্থিত বলে এখান থেকে সমান্তরাল মহাবিশ্ব ধারনাটি চলে আসে।
সমান্তরাল মহাবিশ্ব নিয়ে অনেক বিজ্ঞানীর অনেক মতবাদ। কিছু কিছু পদার্থ বিজ্ঞানীদের মতে সমান্তরাল মহাবিশ্ব কেবল মাত্র আমাদের অতিরঞ্জিত চিন্তা ছাড়া আর কিছুই না। যদিও অনেক পদার্থ বিজ্ঞানী সমান্তরাল মহাবিশ্বের অস্তিত্ব বিশ্বাস করেন। যেহুতু অসংখ্য মহাবিশ্ব পাশাপাশি অবস্থিত, তাই এই অসংখ্য মহাবিশ্বে অসংখ্য ছায়াপথ, সৌরজগৎ এমনকি অসংখ্য পৃথিবী থাকা ও সম্ভব!!এখান থেকে মাল্টি ক্যারেকটার বা বহুচরিত্র বিষয়টিও চলে আসে। এটার মানে হল, এটা খুব সম্ভব যে একই ব্যক্তির অসংখ্য অস্তিত্ব এই অসংখ্য মহাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকতে পারে। অবশ্য অস্তিত্বগুলো পরস্পর সতন্ত্র, উদাহরনসরূপ এই মহাবিশ্বে কোন এক ব্যক্তি হয়ত মাছ খান না, কিন্তু সমান্তরাল মহাবিশ্ব গুলোর কোন একটিতে হয়ত তিনি মাছ খুবই পছন্দ করেন!!!কোন একটি কাজের যদি অসংখ্য সম্ভাব্য পরিণতি থাকে, তবে হয়ত বিভিন্ন মহাবিশ্বে ঐ কাজটির সম্ভাব্য পরিণতি গুলো একই ব্যক্তির বিভিন্ন সত্তা গুলো করতে পারে। বিষয়টা এভাবে বলা যেতে পারে যে ধরা যাক সাইকেল চালানো, সাইকেল চালানর ক্ষেত্রে দুটি ঘটনা ঘটতে পারে, হয়ত কেউ সাইকেলটি চালাতে পারে অথবা পারেনা। কোন মহাবিশ্বে হয়ত কোন ব্যক্তি সাইকেল চালাতে পারেন না, কিন্তু সমান্তরাল মহাবিশ্বের কোন একটিতে তিনি হয়ত সাইকেল চালানোতে রীতিমত চ্যাম্পিয়ন !!!
এখন একটা প্রশ্ন উঠতেই পারে যে এক মহাবিশ্ব থেকে তার সমান্তরালে অবস্থিত অন্য মহাবিশ্বে যাওয়া বা যোগাযোগ করা সম্ভব কিনা। এক্ষেত্রে অনেক পদার্থ বিজ্ঞানীদের মতে তা সম্ভব না। কারন আমাদের কসমিক ভিশন আলোর বেগ দ্বারা সীমাবদ্ধ। তাছাড়া অনেক বিজ্ঞানী সমান্তরাল মহাবিশ্ব কে একই কাগজের দুটি পৃষ্ঠ হিসেবে দেখেন। যেখানে একপৃষ্ঠ অন্যটির খুব কাছাকাছি হলেও একটি থেকে অন্যটি দেখা বা অন্যটির কোন তথ্য পাওয়া সম্ভব না।আবার অনেক বিজ্ঞানীদের মতে সমান্তরাল মহাবিশ্বে যাওয়া সম্ভব যদি কৃষ্ণ গহ্বরে যাওয়া সম্ভব হয়!!!
সমান্তরাল মহাবিশ্ব একটি জটিল ধাঁধাঁ। কোন একদিন হয়ত এই ধাঁধাঁর সমাধান মিলবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment