তাসিন সিরাজ অঙ্গন
পিএমই ১/২
এ্যংলার একটি বিশেষ ধরণের মাছ। এটি এমন একটি মাছ যেটা মহাসাগরের অনেক মাইল নিচে যেখানে সুদক্ষ সাঁতারুদের পর্যন্ত সাঁতার কাটা অসম্ভব হয়ে ওঠে। সেখানে চাপ এতোই বেশী থাকে যে সহজেই একটা মানুষ কে পিষে মেরে ফেলতে পারে। এই রকম একটা বৈরী পরিবেশে যেই মাছটি একটা বিশেষ ধরণের সমরনীতির কাজে লাগিয়ে শিকার কে নিজের দিকে আকর্ষিত করে নিচ্ছে তা হল এ্যংলার মাছ।
এ্যংলার মাছ সমগ্র পৃথিবীতেই পাওয়া যায়। এদের ভিতরে কিছু পেলাজিক, আবার কিছু বেনথিক। এদের ভিতরে কিছু গভীর সমুদ্রে বাস করে আবার কিছু মহাদেশীয় চরে বাস করে। পেলজিক জাতের মাছ গুলার চোয়াল চাপানো হয় আর বেনথিক জাতের মাছ গুলার মুখ বড় হয় এবং এদের চোয়াল জোড়া লাগানো থাকে।
এ্যংলার মাছ বলতে শুধু মাত্র স্ত্রী প্রজাতির মাছ কে বুঝানো হয়, কেননা এরাই গভীর সমুদ্রে ঘুটঘুটে অন্ধকারের ভিতরে শিকার করে। এ্যংলার মাছের পুরুষ প্রজাতি পরজীবী এরা স্ত্রী মাছকে কামড়ে ধরে এবং নিজেকে স্ত্রী মাছের মুখের সাথে আটকে ধরে।
মেলা সময় এর জন্য আটকে থাকার কারনে পুরুষের মুখ এবং জিহ্বা স্ত্রী মাছের সাথে মিশে যায়। ফলে পুরুষ মাছটি পরে নিজেকে আলাদা করতে পারে না। ধীরে ধীরে এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সব পরিবর্তিত হতে থাকে এবং এক সময় এরা সম্পূর্ণ রূপে স্ত্রী মাছটির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তাই যখন স্ত্রী মাছ শিকার করে এর রক্তধারা দিয়ে খাবার প্রবাহিত হয় তখন এ একমাত্র পুরুষ মাছ গুলা খাওয়ার একটা সুযোগ পায়।
No comments:
Post a Comment